দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নাটোরের লালপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক বিএনপির ৩ নেতাকর্মীকে মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় লালপুর থানা ঘেরাও কর্মসূচি শেষে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে লালপুর ত্রিমোহনীতে অবস্থান নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এর ফলে লালপুর-গোপালপুর, লালপুর-বাঘা এবং লালপুর-ঈশ্বরদী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আটককৃতরা হলেন- লালপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোকন (৫০) তার ছেলে অনিক (২৪ এবং ফিরোজ (৩২)।
আটকদের পরিবার ও বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে লালপুর সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা খোকনের বাড়ি ঘিরে ফেলে। এরপর ঘরে ঢুকে তাদের ব্যাপক মারধর করে এবং তুলে নিয়ে যায়। আটক নেতাকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও তারা জানান। খোকনের স্ত্রী রত্না বেগম বলেন, 'আমার স্বামী ও দুই সন্তানকে নির্যাতন করে নিয়ে গেছে, আমরা তাদের মুক্তি চাই।'
এ বিষয়ে জানতে লালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হারুন রশীদ পাপ্পুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। আটক তিনজন আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাপক নির্যাতিত। আওয়ামী লীগের নেতা মতিউর রহমান মতি ও জাহাঙ্গীর তাদের থেকে অনেক চাঁদাবাজি করেছে সেই সময়ে। পটপরিবর্তনের পরে সেই টাকা ফেরত চাইলে তারা (আ.লীগ নেতারা) দিতেও চায়। বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ২০ হাজার টাকা ফেরত দেয় এবং এর একটি ভিডিও করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে দেয় তারা। এরপর সেনাবাহিনী খোকনের বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে আসে এবং ব্যাপক মারধর করে। এর প্রতিবাদেই নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীরা সড়ক অবরোধ করেছে। বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক।
লালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) নুরুজ্জামান বলেন, গতকাল রাতে সেনাবাহিনী আটককরে তাদের থানায় দিয়ে যায়। থানায় কোনো চাঁদাবাজির অভিযোগ নেই। বিষয়টি আমরা দেখছি।
কে