দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাগেরহাটের দুবলার চরে একটি বিদেশি এক নলা বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ কুখ্যাত দয়াল বাহিনীর ৩ জন ডাকাতকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
আটককৃতরা হলেন- ডাকাত দলের সদস্য মো. রহমত মোড়ল (২৬), মো. রবিউল মোল্লা (২৬) এবং মো. জাহাঙ্গীর শেখ (৫১)। তারা খুলনা, সাতক্ষিরা ও বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা বলে জানা যায়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক বলেন, ডাকাত দয়াল বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের দুবলার চরে নিরীহ জেলেদের ওপর আক্রমণ করে। এ সময় জেলেরা নিজেদের আত্মরক্ষার্থে ডাকাতদেরকে প্রতিহত করে এবং দুবলার চরের কোস্টগার্ড স্টেশনে সাহায্য চেয়ে ফোন করে। ডাকাতদের সঙ্গে জেলেদের হাতাহাতির একপর্যায়ে জেলেরা ডাকাতদেরকে তাদের জাল দিয়ে ধরে ফেলতে সক্ষম হয়। হাতাহাতির ফলে ডাকাতরা কিছুটা আহতও হয়। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড উপস্থিত হয়ে ডাকাতদের আহত অবস্থায় আটক করে।
তিনি আরও বলেন, আটক ডাকাতদের কাছ থেকে ১ টি বিদেশি এক নলা বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড তাজা গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দকৃত সকল আলামতসহ আটককৃত ডাকাতদের পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ডাকাতদের দ্বারা আক্রান্ত জেলে শাহাজালাল সানা বলেন, সাগরে জোয়ারের পানিতে জাল ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন একটি নৌকায় ১১ জন দস্যু অস্ত্র হাতে আমাদের কাছে আসেন। তারা নিজেদেরকে মজনু বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়েছিলেন। ‘ডাকাত সরদারের নির্দেশে চার দস্যু আমাদের নৌকায় এসে ওঠে। তাদের কাছে দুটি বন্দুক ছিল। কিছুক্ষণ পরে কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ৯ জেলেকে জিম্মি করে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, ডাকাতের হতে জিম্মি সবাই আমাদের পরিচিত ছিল। আস্তে আস্তে সবাইকে বললাম, ডাকাতদের হাত থেকে বাঁচতে হবে। একপর্যায়ে কথা বলতে বলতে ট্রলারের গলুইয়ের ওপরে থাকা গরান কাঠ তুলে একজনের মাথা বরাবর আঘাত করলাম। অস্ত্রসহ তিনি পড়ে গেলেন পানিতে। দেরি না করে আরেকজন জেলেও দিলেন আরেক দস্যুর মাথায় আঘাত। তার মাথা ফেটে রক্ত বেরিয়ে এল। একটি অস্ত্র তখন আমার হাতে। ওদিকে বাকি দুই দস্যু অন্য ট্রলার থেকে লাফ দিয়ে আমাদের ট্রলারে আসেন। তখন সব জেলেরা ডাকাতদের মারধর করেন। পিটুনি খেয়ে সাগরে পড়ে যায় চার ডাকাত। তারপর সাগর থেকে তিনজনকে টেনে বেঁধে ফেলেন জেলেরা। একজন অস্ত্রসহ সাগরেই থেকে যায়। তিন দস্যুকে বেঁধে সুন্দরবনের দুবলার চরের কাছাকাছি পৌঁছাতে রাত তিনটা বেজে যায়। তখন মুঠোফোনে কোস্টগার্ডকে বিষয়টি জানাই।
দুবলার চরের আরেক জেলে আবদুর রউফ বলেন, জেলেদের জিম্মি করেছিল দস্যুরা। শাহজালাল সানাসহ কয়েকজন জেলের সাহসিকতায় দস্যুরা ধরা পড়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, তিন দস্যুকে জেলেরা ধরাশায়ী করেছে। তারা কোস্টগার্ডের হেফাজতে রয়েছেন।
কে