সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বেড়ানোর কথা বলে এনেমা দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের চট্টি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে৷ এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার তরুণী (১৯) জেলার গৌরীপুর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত তরুণেরা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী ইউনিয়নের চট্টি গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন, চট্টি গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৪), আরশাদ মিয়ার ছেলে শান্ত মিয়া (১৯), লুৎফুর রহমানের ছেলে জীবন মিয়া (২২) ও লিটন মিয়ার ছেলে মো. নাঈম মিয়া (১৯)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, লিটন মিয়ার বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে তরুণীকে চার তরুণ মিলে ধর্ষণ করে। প্রায় এক বছর আগে মুঠোফোনে ইজিবাইক চালক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তরুণীর। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে গৌরীপুর পৌর শহরের পাট বাজার থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে আসে জাহাঙ্গীর। মাগরিবের আজানের পর চট্টি গ্রামের একটি বাড়িতে নেওয়া হয় তাকে।
তরুণী জানায়, বাড়িটিতে জাহাঙ্গীর ছাড়াও আরও তিন তরুণ মিলে তাকে হিজাব দিয়ে চোখ মুখ বেঁধে ফেলে। তারপর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তখন তাদের কাছ থেকে বাঁচতে কান্নাকাটি করে। এসময় বাড়ির পাশে একটি খোলা মাঠে নিয়ে মারধর করতে থাকে তারা। তখন চিৎকার শুনে স্থানীয় এক ব্যক্তি আমাকে উদ্ধার করে। তার সঙ্গে ঘটা নির্যতানের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
বৃস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তরুণীকে উদ্ধার করেন চট্টি গ্রামের জুয়েল মিয়া। তিনি বলেন, জমিতে সেচ দিতে গিয়ে মেয়েটির কান্নাকাটি শুনে তাকে উদ্ধার করি। চার তরুণ আমাদের এলাকার। এদের বিচার হওয়া উচিত।
ঘটনার পর থেকে চারজন তরুণই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
তরুণী চট্টি গ্রামের একটি বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে রাখা হয়েছিল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, 'মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয় রাতে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। তাছাড়া এখনো পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। '
এফএইচ/