সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নোয়াখালীর জেলা শহরের গণপূর্ত দপ্তরের বিপরীতে শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় দুই-আড়াই ঘণ্টায় আগুনের তাণ্ডব লিলায় নিঃস্ব হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে রাত প্রায় দুইটার দিকে। আর পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ভোর ৫টায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, আগুনে তাদের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সাকিব নামে একজন বলেন, আগুনের সূত্রপাত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর ধারণা প্রধান সড়কের পাশে ফেন্সী প্রেস ও লাকী স্টোর নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের যে কোনো একটি থেকে বৈদ্যুতিক শট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে নুপুর মার্কেট, পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি দোকানসহ হকার্স মার্কেটের বিভিন্ন দোকান পুড়ে যায়। ২ ঘণ্টার আগুনের তাণ্ডব লিলায় রাতের আধারেই নিঃস্ব হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী আবু আহমেদ বলেন, শীতের রাতে শহরের প্রায় দোকানই তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়। শনিবারও ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১১টার কিছু সময় পর হঠাৎ আগুনের লাল ফুলকি আকাশের দিকে উড়তে থাকে। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরাও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে।
পারভেজ নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, তার প্রতিষ্ঠানের সকল পণ্য পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। কিছুই অবশিষ্ঠ নেই। পথে বসে গেলাম।
আরেক ব্যবসায়ী ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমাদের পাশেই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পাইকারি ও খুচড়া কাপড়, বাইসাইকেল, ছাপাখানা, কাগজের গুদাম, জুতার দোকান, কসমেটিকস্, হোটেলসহ আনুমানিক ২০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমাদের ভবন বহুতল হওয়ায় আগুন থেকে রক্ষা পায়।
ফেন্সী প্রেসের সত্ত্বাধিকারী মো. হাছান বলেন, আমি এখন পথের ফকির। আমার সব শেষ। পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় বসে গেছি। এখন সামনে শুধু অন্ধকার।
নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ফেনীসহ ফায়ার সার্ভিসের মোট আটটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পুরোপুরি নির্বাপণ করতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের সূত্রপাত হওয়ার কারণ তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
আরএ