সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বছরের শুরুতেও গেলো বছরের শেষ সময়ের মতো পর্যটকে ঠাসা কক্সবাজার। দেশের প্রধান এই পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে ভ্রমণ পিপাসুদের যেনো আলাদা চাহিদা। নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ভরা এই পর্যটন মৌসুমের চাপ থাকবে জানুয়ারীর শেষ সময় পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খুলতে শুরু করলেও এখনো শুরু হয়নি শ্রেণি কার্যক্রম, তাই এই সময়টাতে পরিবার পরিজন নিয়েই বেড়াতে আসেন সবাই। এছাড়াও সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ থাকায় চাপ পড়ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায়। বিশেষ করে ছুটির দিন গুলোতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করার মতো।
সাপ্তাহিক ছুটির দ্বিতীয় দিন ও পর্যটন মৌসুমে পর্যটকমুখর হয়ে উঠেছে রুপের রাণী রাঙামাটি। বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে আশানুরূপ পর্যটক রাঙামাটি ভ্রমণ করতে শুরু করেছেন।
সকাল থেকেই রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটকদের আনাগোনা রয়েছে। দলে দলে পর্যটকরা ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনে হাঁটা-চলার পাশাপাশি অনেকেই কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহার করছেন। রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মোহিত পর্যটকরা জানালেন, নিরাপত্তা নিয়ে কোনও শঙ্কা নেই। পর্যটকরা আসতে শুরু করায় খুশি ব্যবসায়ীরাও।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক আলমগীর পাভেল বলেন, বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ এবং অফিস ছুটি থাকাতে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছি। রাঙামাটি খুব সুন্দর ও মনোমুদ্ধকার স্থান। ভালো সময় কাটছে।
সিরাজগঞ্জ থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক সুধির দাশ বর্মন বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ আবার রাঙামাটি আসলাম। এখানে বারবার আসতে মন চায়। আমরা ৪০ জনের একটি গ্রুপ বাস নিয়ে এসেছি। রাঙামাটির রুপ দেখে আমরা সত্যিই মুগ্ধ। সবারই বেড়াতে আসা উচিত।
পর্যটন নৌযান ঘাটের ম্যানেজার মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, গতমাসের শেষের দিক থেকে রাঙামাটিতে ভালোই পর্যটক সমাগম রয়েছে। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের আগমন একটু বেশি থাকে। পর্যটক আসলে আমাদের ব্যবসাও ভালো হয়।
পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, এখন প্রায় প্রতিদিনই বেশ ভালো পর্যটক সমাগম হচ্ছে। সবাই ঝুলন্ত ব্রিজে যাচ্ছে, বোট নিয়েও পর্যটকরা কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণে যাচ্ছেন। পর্যটক আগমনের হারটা সময়ের সাথে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।
কে