সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফরিদপুরের সদর উপজেলার চরনসিপুর এলাকায় সাত বছরের এক শিশু কন্যা তাহিয়া (৭)-কে ধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনায় উত্তেজিত জনতার গণধোলাইয়ে নিহত হয়েছে হত্যাকারী। বুধবার সন্ধ্যার পরে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে পুলিশ গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় আটক করে ধর্ষণকারী শাহিন ওরফে হায়দার মোল্লাকে (৫৫)। নিহতদের দুজনের বাড়ি একই এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে খেলতে গিয়ে চরনসিপুর গ্রামে নিখোঁজ হয় জিয়ারত আলীর শিশু কন্যা তাহিয়া। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার পিতা কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। এ ঘটনায় পুলিশ বুধবার বিকেলে গিয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি চালায়। এ সময় পুলিশের সন্দেহ হয় পাশের বাড়ির শাহিনুর ওরফে হায়দার মোল্লাকে। পরে তার ঘরের ভিতর থেকে একটি বস্তার ভিতরে বিদ্যুতের তার পেঁচানো অবস্থায় তাহিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে। এ সময় আটক করা হয় শাহীনকে। পুলিশ তাকে হ্যান্ডকাপ পড়ানো অবস্থায় ঘরের ভেতর আটক করে রাখা হয়। স্থানীয়রা বারবার পুলিশের কাছে শাহীনকে তাদের হাতে ছেড়ে দিতে চাপ সৃষ্টি করে। এ সময় কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান ও অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম উত্তেজিত জনতাকে থামাতে বারবার চেষ্টা করেন। তাদের সাথে বারবার কথা বললেও উত্তেজিত জনতা তাদের কথা না শুনে ঘর ভেঙে ঘরের ভিতর থাকা শাহীনকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এসময় শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়েও শান্ত করা যায়নি পরিবেশ।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নিখোঁজ শিশু কন্যার খোঁজে এলাকায় তদন্ত করতে আসে পুলিশের দল। এ সময় পুলিশ তদন্তে প্রতিবেশী শাহীনকে সন্দেহ হলে তার ঘর থেকে তাহিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। আমরা বাড়ির সামনে থেকে উত্তেজিত জনতাকে থামাতে চেষ্টা করছিলাম। তারা ঘরের পিছন থেকে গিয়ে ঘর ভেঙে ঘরে ঢুকে পিটিয়ে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরএ