সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
অগ্রহায়ণের শেষ হতে না হতেই জেঁকে বসেছে শীত। কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে যাচ্ছে গাইবান্ধা শহরের ওলি-গলি। শীত বাড়ার সাথে সাথে কদর বাড়ছে মুখরোচক শীতের পিঠার। আর শীতে পিঠা হবে না তা ভাবাই যায় না। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।
শহরের অলিগলি, পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তাদের বাহারি সব পিঠাপুলি নজর কাড়ছে। পড়ন্ত বিকেল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা হয়ে বেশ রাত পর্যন্ত বিক্রির ধুম পড়ে। সন্ধ্যার পর থেকেই অলিগলি ও রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে দাঁড়িয়ে বা বসে লাইন দিয়ে পিঠা খেতে দেখা যায়। দোকানিরা ফুটপাতে মাটির চুলা, এলপিজি গ্যাস ও কোরোসিনের চুলা নিয়ে বসে যান। এ শীতে চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠারই কদর বেশি।
ক্রেতাদের অর্ডার অনুযায়ী খেজুরের গুড়, শুটকি ভর্তা, ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করে দেওয়া হয়। এছাড়া চিতই পিঠার সম্পর্কে ক্রেতাদেরকে সরিষার ভর্তা ও শুটকির ভর্তা দেওয়া হচ্ছে। গরম গরম পিঠা পেয়ে ক্রেতারাও দারুণ খুশি। প্রতিটি বড় ভাপা পিঠা ১৫ টাকা ও প্রতিটি ছোট ভাপা পিঠা ১০ টাকা ও চিতল পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।
শীত মৌসুমে বাড়িতে পিঠাপুলি বানানোর আয়োজন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে ঘরে ঘরে পিঠাপুলির আয়োজন এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ব্যস্ততা ও পারিপার্শ্বিক সমস্যায় নিজ হাতে পিঠা তৈরির আয়োজন কমে গেলেও পিঠাপ্রীতি ও ভোজন থেমে নেই। মানুষ এখন দোকানের পিঠার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে পিঠা ভোজন মানুষ।
আরএ