সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন মাসুদের বিরুদ্ধে চৌমুহনী কুরি পাড়ার তিন তলা বিশিষ্ট প্রবাসীর বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন ভবনের মালিক প্রবাসীর স্ত্রী কাজল রেখা। নোয়াখালী টিভি সাংবাদিক ফোরাম অফিসে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাজল রেখা অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীর প্রবাস থেকে পাঠানো টাকা দিয়ে ১৯৯৪ সালে চৌমুহনী পৌরসভায় ১৩ শতক জায়গা কিনি। তারপর ৪ শতকের ওপর তিন তলা ভবন তৈরি করে বসবাস করে আসছি। ২০০৭ সালে আমার ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার উদ্দেশ্যে ঢাকা যাওয়ায় নুর হোসেন মাসুদকে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব দেই। কিছুদিন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলেও ২০০৯ সাল থেকে বাড়ির ভাড়া আদায় করে আমাকে পাঠানো বন্ধ করে দেয় এবং একপর্যায়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে বাড়িটি দখল করে নেয়।
তিনি আরও বলেন, এরপর নিচতলায় তিনি এবং দোতলায় আরেক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাহাবুদ্দিন বসবাস শুরু করেন। আমি এসে তাকে চাপ প্রয়োগ করলে সে আমাকে আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় তৎকালীন মেয়র, এমপি এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রভাবশালীদের কাছে গিয়েও আমি কোনো প্রকার প্রতিকার পাইনি। পরে নানাভাবে আমাকে চাপ দিয়ে আমার কোটি টাকার বাড়ি ৩৫ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করেন। এরপর মাত্র ৬ লাখ টাকা আমাকে নগদ দিয়ে আর কোনো টাকা না দিয়ে কাগজ না করে বাড়ির নাম পরিবর্তন করে আমাকে বলেন বাড়ি দখল হয়ে গেছে।
প্রবাসীর স্ত্রী বলেন, যদি আমি বাড়াবাড়ি করি তাহলে পরিবারসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে মাসুদ। আমি ভয়ে ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে ওই সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলে আমি এসে আমার বাড়ির দলিল, হোল্ডিং, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাসবিল পরিশোধসহ সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করি। নিচতলা ও তৃতীয় তলা উদ্ধার করলেও দোতলা এখনো উদ্ধার করতে পারিনি।
ভুক্তভোগী প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার এবং অপরাধীদের আইনানুগ শাস্তির দাবি জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন মাসুদের মুঠোফোনে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয়রা জানায়, ৫ আগস্টের পর মাসুদ এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে।
অ