প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

মানিকগঞ্জে ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের ফুলহারা আঞ্চলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে অনিয়ম করে নিজের নিয়োগ ও কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং এলাকাবাসী। এতে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কর্যক্রম।

দেশ টিভি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি বিধি মোতাবেক সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করতে হলে এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে ন্যূনতম ১২ বছরের যোগ্যতা লাগে। শিল্পী আক্তার এমপিওভুক্ত হয় ১ নভেম্বর ২০১০ সালে। তার স্বামী সায়েদুর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি এমপিওভুক্তির তারিখ হতে মাত্র তিন বছরের মধ্যে ১৬ জুন ২০১৩ সালে তিনি প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পরই কাশেম আলী নামের এক সহকারী শিক্ষকের নামে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করে তার বেতনের টাকা নিজেই আত্মসাৎ করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তিনি তার স্বামীর প্রভাব খাঁটিয়ে নানা রকম মামলা মোকদ্দমার মাধ্যমে জাল জালিয়াতি করে প্রতি বছর ম্যানেজিং কমিটি বাতিল ও স্থগিত করে। তারপর তিনি তার স্বামীকে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি বানিয়ে বিদ্যালয়ের যাবতীয় আয়-ব্যয় গোপন করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এরপর তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সেশন ফি, ভর্তি ফি, সরকারি বরাদ্দকৃত বিজ্ঞানাগারের মালামাল ক্রয়ে এবং সকল অনুদানের লাখ লাখ টাকা তিনি ও তার স্বামী আত্মসাৎ করেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি এমপিওভুক্তির তিন বছরের মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন স্বীকার করে বলেন, আমাকে নিয়োগ দিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি। এতে আমার অপরাধ কি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যে অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা উঠেছে তা সত্য নয় বলেও দাবি করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুলটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএ