সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় মামলার আসামি হলেন ফেনীর দুই সাংবাদিক। তারা হলেন, দৈনিক দেশ রুপান্তর পত্রিকার সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি আবুল হোসেন রিপন ও সাপ্তাহিক ফেনীর ডাক সম্পাদক জিয়াউর রহমান হায়দার।
গত ১৮ নভেম্বর সেনবাগ উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সিএনজি চালক আবদু রব বাদী হয়ে ১৪২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৭০ জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আবুল হোসেন রিপনকে ৫২ নং ও জিয়াউর রহমান হায়দারকে ২০নং আসামী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আবদু রব বলেন, আমার ওপর হামলাকারী ৮-১০ জনকে চিনতে পারব। বাকীদের আমি চিনি না। বাকীদের কেন মামলায় আসামে করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনজন বিএনপি-জামাতের নেতা আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কয়েকটি স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। পরে ঐ পেপারগুলো ফেনী মডেল থানায় তারাসহ জমা দিয়েছি।
কোনো নিরপরাধ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেটা আমি ওসিকে বলেছি। এ প্রতিবেদককে মামলায় কতজন আসামি বা প্রধান আসামি কে তা কিছুই বলতে পারেনি বাদী আবদুর রব। এ সময় আবুল হোসেন রিপনকে তার সামনে নিয়ে এসে চিনেন কিনা জানতে চাইলে তিনি না সূচক জবাব দিয়ে কখনো দেখেননি বলে জানান।
সাংবাদিক আবুল হোসেন রিপন বলেন, আমি সোনাগাজী উপজেলা থেকে গত দুই দশক সাংবাদিকতা করি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিপক্ষ থাকতে পারে। তারা হয়তো আমাকে জড়িয়েছে। আমি কোনো দল বা পদ-পদবিতে নেই।
ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা জানান, বাদীর এজাহার পেয়ে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। দুজন সাংবাদিক কিভাবে আসামি হলো সেটাও জানা নেই। এজাহারে তাদের পেশাগত পরিচয় ছিল না। আশাকরি তদন্তে বিষয়টি জানা যাবে।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় মামলায় নিরপরাধ আসামিদের যাতে হয়রানি না করা হয় সে জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। কোনো নিরপরাধ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ খেয়াল রাখছি। নিরপরাধ হলে তদন্ত প্রতিবেদন থেকে তাদের বাদ দেওয়া হবে।
এফএইচ