সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ধর্মপুর গোয়ালভিটা হোসেনিয়া আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষিকা (ইংরেজি) শারমিন আক্তারের মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়ের প্রাপ্ত বেতন-ভাতার টাকা ফেরত নিয়েছেন অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন।
ফেরত নেওয়া টাকা দেড় বছর পার হলেও ব্যাংকে জমা দেওয়ার রশিদ দেননি ওই শিক্ষিকাকে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ও শিক্ষিকা ২৯ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষিকা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পেয়ে ওই মাদরাসায় ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন। ওই বছরের ১ মার্চ থেকে এমপিওভুক্ত হন। যোগদানকালীন শারমিন আক্তার সন্তানসম্ভবা ছিলেন বলে ওই বছরের ৮ ফেরুয়ারি থেকে তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন। এরপর অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল জানান শারমিন আক্তারের মাতৃত্বকালীন ছুটি গ্রহণ বৈধ হয়নি বিধায় তার ৬ মাসের গৃহীত বেতন-ভাতা ফেরত দিতে হবে।
এমতাবস্থায় অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন ওই শিক্ষিকার বাড়িতে গিয়ে তার কাছ থেকে ১ লাখ ৪ হাজার টাকা নেন। তিনি নিজে সেই টাকা ফেরত দিতে চাইলেও অধ্যক্ষ জানান টাকাটি তার মারফতই ফেরত দিতে হবে। বাধ্য হয়ে মাদরাসার প্রভাষক মো. রেজাউল করিমের উপস্থিতিতে শিক্ষিকা অধ্যক্ষকে ওই টাকা দেন। পরবর্তীতে অধ্যক্ষের কাছ থেকে টাকা ফেরত প্রদানের চালানের কপি একাধিকবার চেয়েও তিনি তা দেন নাই। বরং তা দিতে আরও ৬ মাস সময় প্রয়োজন বলে জানান।
শিক্ষিকা শারমিন আক্তার বলেন, বহুবার জমার রশিদটি চাওয়ার পরও না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি অভিদপ্তরে অভিযোগ করি। অধিদপ্তর থেকে সাত দিনের মধ্যে রশিদটি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। তারপরও আমাকে রশিদটি দেওয়া হয়নি। সেকারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পুনরায় অভিযোগ করেছি। আমি আমার টাকা ফেরত চাই, ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বলেন, ছুটিটি বিধি মতাবেক না হওয়ায় টাকা ফেরত নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমি ব্যাংকে জমা দিয়েছি। জমার ব্যাংক রশিদ মাদরাসায় আমার ব্যক্তিগত ড্রয়ার আছে। স্থানীয় লোকজন ও কিছু শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মাদরাসায় যেতে দিচ্ছে না। সে কারণে আমি রিসিভটি শিক্ষিকাকে দিতে পারছি না। ২-১ দিনের মধ্যে মাদরাসায় গিয়ে রশিদটি অভিযোগকারী শিক্ষিকাকে ফেরত দেব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে, সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএ