সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে ভালো কথা, তার মানে প্রশাসন ফেইল করছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের হলরুমে জেলা বিএনপি আয়োজিত ছাত্র-জনতা আন্দোলনে ঠাকুরগাঁওয়ের শহীদদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার সেই সমস্ত এলাকায় দেওয়া দরকার, সেই সমস্ত এলাকায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। যে সমস্ত এলাকা শান্তিপূর্ণ আছে, যে সমস্ত এলাকায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই সমস্ত বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। সেসব এলাকায় ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে নতুন করে সমস্যা তৈরি করা সমুচিন হবে না বলে মনে করি।
অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, তারা বিষয়টি পুণর্বিবেচনা করবেন এবং কখনই এমন কোনো ব্যবস্থা নেবেন না যা তাদের ও দেশের মানুষের জন্য বুমেরাং হবে। আমি এ কথাগুলো স্পষ্টভাবে বলছি-কারণ একথাগুলো বলা আমার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ১৬-১৭ বছর ধরে আমরা ত্যাগ স্বীকার করছি, মার খাচ্ছি, জেলে যাচ্ছি; শুধুমাত্র এই ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকার সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
এসময় আশা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার জঞ্জাল দুর করে তারা দেশে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করবেন যে পরিবেশে সুস্থ উপায়ে সবার অংশগ্রহণে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের একটা পার্লামেন্ট তৈরি হবে। এই অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই, আমরা যেন সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখতে পাই। গণতান্ত্রিক মানে নির্বাচিত সরকার দেখতে পাই, পার্লামেন্ট দেখতে পাই।
মির্জা ফখরুল বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য মানুষের ওপর যেন অন্যায় অত্যাচার না হয়, আমার শিশুদের ওপর গুলি করে যেন এভাবে হত্যা করা না হয়। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করার জন্য যার যার সঙ্গে বলার দরকার, ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার সেই ব্যবস্থাগুলো নেবেন।
তিনি বলেন, আমি জানি, আমার কথাগুলো অনেকের মনঃপূত নাও হতে পারে। কিন্তু সত্য উচ্চারণ করা আমার দায়িত্ব। আপনার সেই কাজগুলো করেন যাতে একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ, একটা সংঘাতহীন ভবিষ্যত, সন্ত্রাসমুক্ত ভবিষ্যত এবং মানুষের অধিকারযুক্ত ভবিষ্যত ফিরে পেতে পারি।
রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক কাজ করতে দেওয়া, এটাই সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে তিনি মত দেন।
সাক্ষাৎ শেষে চারজন নিহত ও ৪১ জন আহতদের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস সহ জেলা, উপজেলা ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।
এফএইচ