সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে ভারতের পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল। গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচার আর নির্যাতনে দেশবাসী দুর্বিষহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে দিন পাড় করেছে।’
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মাদারীপুরের শিবচরের পাঁচ্চরে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহের নামে মেধাবী সেনাদের হত্যা করেছিল। ইসলাম নির্মূল করার জন্য শাপলা চত্বরে সমাবেশে গণহত্যা চালিয়েছিল। এমন হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার দুঃসাহস বেড়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে যেকোনো আন্দোলনে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের গুম ও খুন করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলেন। সর্বশেষ ছাত্রজনতার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট ওই সরকারের পতন হয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে পারে গণ অধিকার পরিষদ এমনটাই জানিয়ে দলের সভাপতি আরও বলেন, আগামীতে নতুন বাংলাদেশ রচিত হবে। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই অঙ্গিকার নিয়েই গণ অধিকার পরিষদের রাজনৈতিক পথচলা। পুরনো রাজনৈতিক দলে শাসন ব্যবস্থা ও কর্মপদ্ধতি দেশের মানুষ দেখেছে। যেই লাউ, সেই কদু। শত শত মানুষ ছাত্র আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন, আর যেন কাউকে জীবন দিতে না হয়, এজন্য টেকসই গণতন্ত্র চায় গণ অধিকার পরিষদ।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের আমলনামা খুব একটা ভালো না। যে লঙ্কায় যায়, সেই রাবন হয়। সে চিত্র দেশের মানুষ দেখেছে। পুরনো চাঁদাবাজ, দখলবাজ, হুন্ডাবাহিনী-গুন্ডাবাহিনী তারাই যদি আবার নির্বাচিত হয়ে আসে, তাহলে আমাদের কারও জন্যই সুখবর হবে না। এবার পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে, জনগণের হাতে ক্ষমতা রয়েছে। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কাকে ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হবে। বিগত-দিনে যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে পুলিশ-প্রশাসনকে তাদের মতো করে পরিচালিত ও দলীয়করণ করেছে। জনগণ কারো কাছে যেন জিম্মি না থাকতে পারে, এজন্য রাষ্ট্রের সংস্কারের প্রয়োজন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সময় দেয়া হবে। এক ফ্যাসিবাদ গেছে, আরেক ফ্যাসিবাদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। বিভিন্ন জায়গায় আগে যেখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ চাঁদা নিত এবং দখল করত, এখন সেখানে অন্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা একই কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে পারে নাই। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তাই, আগামীর রাষ্ট্রনীতিতে যেন তরুণদের অগ্রাধিকার থাকে, তরুণদের নেতৃত্ব থাকে সেজন্য গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে। পরিবর্তনের রাজনীতির জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি গাউচ মৃধার সভাপতিত্বে জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহম্মেদ মুন্সী, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সদস্য কাজী ইউসুফ, বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের মাদারীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার মনির, প্রবাসী অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর মৃধা, ছাত্র অধিকার পরিষদের মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি আবিদ ইসলামসহ অনেকেই।
কে