সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েন। শনিবার (২ নভেম্বর) নোয়াখালীতে তারুণ্যের সমাবেশ করেছিল ভিপি নূরের গণঅধিকার পরিষদের নোয়াখালী জেলা শাখা। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনের বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি ভিপি নূর বক্তব্য শুরু করেন। তখন সময় সন্ধ্যা ৫টা বেজে ১২ মিনিট। ভিপি নূর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন। হঠাৎ ৫টা ১৫ মিনিটের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়।
এ সময় স্থানীয় নেতাদেরকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখা যায়। তারা মুঠোফোনে বিভিন্ন জায়গায় কল করে কড়া ভাষায় কথা বলতে থাকেন। এরই মধ্যে নূর হ্যান্ডমাইকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। তিনি এই ঘটনার জন্য নব্য ফ্যাসিবাদের দোসরদের দায়ী করেন। পাঁচ মিনিট পর ৫টা ২০ মিনিটের দিকে ফের বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়। তারপর মাইকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।
হ্যান্ডমাইকে বক্তব্য দেওয়ার সময় ভিপি নূর বলেন, আমার পাশের নেতৃবৃন্দ বলছেন এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ। এখানে বিদ্যুৎ যায় না। তাহলে আমার মনে হয় কেউ বিঘ্ন ঘটিয়েছে। এতক্ষণ বক্তব্য চলেছে, যে মাত্র আমি বক্তব্য শুরু করলাম তখন বিদ্যুৎ চলে গেলো। এটার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা বিদ্যুৎ বিভাগ জানেন যে আজ নোয়াখালীতে গণঅধিকার পরিষদের ঐতিহাসিক সভা। সে সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা একটি পরিকল্পিত বলে আমরা মনে করি।
আমার নেতৃবৃন্দকে বলবো বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার জন্য জবাবদিহি করা এবং তারা নব্য কোনো ফ্যাসিবাদের দোসর তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। তারা গণঅধিকার পরিষদের সভা পণ্ড করার জন্য এই বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা ঢাকায় গিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনবো।
একপর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ এলে ভিপি নূর বলেন, হুমকিতেও কাজ হয়। কিন্তু আমি আমার নেতৃবৃন্দকে বলবো এই বিদ্যুতের সংযোগ কিভাবে গিয়েছে, কারা উসকানি দিয়েছে, কারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করার জন্য। এই নোয়াখালীর মাটিতে তারা থাকতে পারবেনা। কত বড় বদমাইস হলে তারা এত বড় সমাবেশে ষড়যন্ত্র করতে পারে।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নতার বিষয়ে নোয়াখালী পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাবিবুল বাহার বলেন, সারা দেশেই বিদ্যুতের তীব্র সমস্যা চলছে। বর্তমানে এটি জাতীয় সমস্যা। নোয়াখালীতে চাহিদা ৩০ মেগাওয়াট। কিন্তু আমরা পাচ্ছি মাত্র ১৪ মেগাওয়াট। সংযোগ সচল রাখতে খুবই হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা যারা চাকরি করি তাদের কিছুই করার নেই। জাতীয়ভাবে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় আমরা কোনোরকমে টেনেটুনে এদিক সেদিক করে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল রাখার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, গণঅধিকার পরিষদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমাদেরকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে ৫টায় প্রোগ্রাম শেষ হবে। সে অনুযায়ী অল্প সময়ের জন্য ৫টা ১৫ মিনিটের সময় বিদ্যুৎ চলে গেছে। তাদের ফোন পেয়ে আমরা আবার সচল করে দিয়েছি। তারা যদি আমাদের আগে বলতো প্রোগ্রাম শেষ হয়নি, তাহলে এমনটা হতো না।
আরএ