সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রাজনৈতিক সুবিধা দিতে খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতার কাছে দুই টাকা চাঁদা দাবি করেছে বিএনপি নেতা। এমন একটি কল রেকর্ডের অডিও-ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। হয়েছে। বুধবার (৫ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে।
খুলনা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদের একটি চাঁদা নিয়ে ফোনে কথা বলেন।
কল রেকর্ডে বলতে শোনা যায়, তারা নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ খালিদ আহমেদের কাছে রাজনৈতিক সুবিধা দিতে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। তবে ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও রিয়াজ শাহেদ।
চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেনকে কল রেকর্ডে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের মেইন লোক হলো রিয়াজ, হয়তো জানেন। এখন যে পজিশন, সেই পজিশনের মধ্যে ওই এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে, আমাদের ওই এলাকায় অনেক ক্ষতি করেছে সে। যাই হোক লোকাল পলিটিক্সে আপনি (শেখ খালিদ আহমেদ), বার বার বলতেছি যে, সে আমার ছোট বেলার বন্ধু, সে যেন না আসে। তার ব্যাপারটি একটু দেখতি হবে নে, যেন না ফাঁসে। ওর দিকে একটু খেয়াল-টেয়াল রাইখেন। তারপরও ওর জন্য একটু করতি হবে।’
প্রতি উত্তরে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ভাই কী করতে হবে, বলেন না? ও তো আমার ভাই, বন্ধু সমস্যা নেই। কী করতে হবে বললি, আমার জন্য একটু সুবিধা হয়। তখন হোসেনকে বলতে শোনা যায়, কিছু হেল্প করা লাগবে। পাশ থেকে ফিসফিসিয়ে আরেকজন বলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে।’
এ সময় শফিকুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘এখন তো কম-বেশি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করা লাগবে।’ অপর ফোন থেকে বলা হয়, ‘আপনি বলেন, আপনি বললে আমার মনটা ঠাণ্ডা হয়ে যায়’। এ সময় শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লাখ দুই টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েন’। এর উত্তরে সে বলে, ‘আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি ভাই, কোনো সমস্যা নেই’।
এরপর শফিকুল ইসলাম যার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তার আরেকটি ফোনে শোনা যায়, ‘ভাইকে অনেক কষ্টে ম্যানেজ করেছি। তুই ওইটা ম্যানেজ কর বন্ধু’। তখন সে জানতে চায়, ‘তোকে কে ফোন দিয়েছিল’। সে উত্তরে বলে ‘উনি হলেন, আমাদের মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন ভাই। খবরদার কারো কাছে নাম বলবি না। বললে অসুবিধা আছে। তখন সে বলে না কারো কাছে বলব না দোস্ত’।