সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২ জন নিহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সদর উদ্দীন খান, সাধারন সম্পাদক আজগর আলীসহ মোট ৪৯ জন নেতাকর্মীর নামে দুটি পৃথক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে কুষ্টিয়া মডেল থানায়।
নিহতরা হলেন, কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার লুকমান হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ (১৩) এবং সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদাহ গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে বাবু (৩২)। নিহত আবদুল্লাহ তার বাবার সঙ্গে শহরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে অবস্থিত চায়ের দোকানে কাজ করত। আর বাবু স্বর্ণব্যবসায়ী ছিলেন। ৫ আগস্ট বিকেলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে তারা দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এদের মধ্যে বাবু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।
নিহত আবদুল্লাহের বাবা লোকমান এবং নিহত বাবুর পক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাইসুল হক বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দুটি করেন। এর মধ্যে আবদুল্লাহর হত্যা মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আর বাবু হত্যা মামলায় শহর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাকে প্রধান আসামি করে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীসহ ৩৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় মোট ৪৯ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী মামলা দুটির বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তবে মামলার কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানান তিনি।
এফএইচ