সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিসহ সাত পুলিশের সদস্যের বিরুদ্ধে থানা হেফাজতে নিয়ে মারধর ও টাকা দাবির প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করেছেন অ্যাডভোকেট মিনারুল ইসলাম মিনার (৩৫) নামের এক আইনজীবী।
বুধবার (১৪ আগস্ট) জেলা ও দায়রা জজ ফজলে এলাহী ভূঁইয়ার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বাদী। আদালত আগামি ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ প্রদান করেন।
মামলার সাত আসামি হলেন- সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান পাঠান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপু বড়ুয়া, মো. কামাল হোসেন, সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু তালেব, কনস্টেবল মো. রাসেল ও থানার মুন্সি রুবেল বড়ুয়া।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে তানজিনা আক্তার তানিয়া নামে ৭ বছরের এক শিশুকে মামলার এফআইআরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে আমার আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিকে শোকজ করেন আদালত। এ নিয়ে ওসি রনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। গত ১৯ জুলাই বিকেলে আমার মামা বিএনপি নেতা আবদুল করিম মুক্তাকে আটক করে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ। এ সংবাদ পেয়ে তাকে দেখতে গেলে ওসির নের্তৃত্বে আসামিরা থানার একটি কক্ষে আমাকে আটক করে মারধর করেন।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, খবর পেয়ে আমার আত্মীয়-স্বজন আমাকে থানা থেকে ছাড়াতে গেলে এসআইদের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ও পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে পরদিন ২০ জুলাই আমাকে কয়েকটি মামলায় জড়িয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়। এ সময় আমার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করার ভয় দেখায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. কামাল হোসেন। তিনি ২০ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বুধবার (১৪ আগস্ট) জেলা ও দায়রা জজ ফজলে এলাহী ভূঁয়ার আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অথবা তার কোনো অধনস্থন ম্যাজিসেট্রট দ্বারা অনুসন্ধান করে আগামি ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিকে ফোন দেওয়া হলে রিসিভ করেন পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যা। আমাদের হয়রানি করার জন্য এটি করা হয়েছে। থানায় এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আরএ