সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলার নয়দিন পর পল্লী চিকিৎসক রজিবুল ইসলাম মিঠু (৪৭) মারা গেছেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ জুন দুপুরে নিজেদের বাড়িতে মারা যান মিঠু। গত সোমবার (১ জুলাই) নড়াইল জেলা হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয় মিঠুকে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে ভুক্তভোগীর পরিবার বলেন, প্রতিপক্ষ রবিউল ইসলাম বিপুলসহ তার লোকজন পল্লী চিকিৎসক মিঠুকে তার চেম্বারে গত ২২ জুন লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক মারধর করেন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ জুন দুপুরে নিজেদের বাড়িতে মারা যান মিঠু। গত সোমবার (১ জুলাই) নড়াইল জেলা হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে মিঠুকে দাফন করা হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চাঁচুড়ী এলাকায় দুইপক্ষের দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে। একটি পক্ষে নেতৃত্ব দেন-রবিউল ইসলাম বিপুল এবং অপর পক্ষে শিবলী রোমান প্রিন্স। পল্লী চিকিৎসক মিঠু প্রিন্সের পক্ষের লোক ছিলেন।
নিহত মিঠুর স্ত্রী ডালিয়া বেগম বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিপুল পক্ষের এক ব্যক্তি হত্যকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলক আমার স্বামীকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় চার মাস কারাগারে থাকার পর গত ১৯ জুন জামিন পেয়ে বাড়িতে আসেন তিনি (মিঠু)। তিনদিন পর (২২ জুন) চাঁচুড়ী বাজারে নিজের চেম্বারে গেলে প্রতিপক্ষের বিপুল ও তার লোকজন মিঠুকে লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করেন। আহত হওয়ার পর মিঠুকে হাসপাতালে নিতেও বাধা দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন। হাসপাতালে নিতে না পারায় দুইদিন ধরে বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত ২৫ জুন নড়াইল শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে মিঠুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে বাড়িতে আনার পর গত ৩০ জুন দুপুরে মারা যান তিনি।
নিহত মিঠুর মেয়ে রওযা ইসলাম বলেন,আমার বাবাকে প্রতিপক্ষের বিপুলসহ তার লোকজন পিটিয়ে আহত করার নয়দিন পর মারা গেছেন। আমরা বাবা হত্যার বিচার চাই। এখন প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিচ্ছে। আমরা মামলা করতে পারছি না।
এদিকে নিহত মিঠুর প্রতিবেশিরা জানান, পল্লী চিকিৎসক মিঠুকে নির্মমভাবে মারধর করার পর অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।
অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম বিপুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কালিয়া থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন। ভুক্তভোগীদের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনারা (ভুক্তভোগী পরিবার) কি বলল, তাতে তো কিছু যায় আসে না। আমাদের প্রসেস যেটা, সেটা করব। উনারা তো অনেক কিছু বলতে পারেন। আমরা অপমৃত্যু মামলা নিয়েছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএইচ