সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কালবৈশাখি ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলায় ধান, পাট, তিল ও বাঙ্গিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন এই অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে দুইটি উপজেলার প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতি হয়েছে গতরাতের শিলাবৃষ্টিতে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক শান্তনা রাণী বলেন, প্রাথমিকভাবে জেলার দুইটি উপজেলার ফসলি জমি ক্ষতির যে তথ্য পেয়েছি তার মধ্যে বোরো ধানের জমি রয়েছে ৩০০ হেক্টর, ভুট্টা আবাদকৃত জমি রয়েছে ১৫০ হেক্টর। তাছাড়া পাট, তিল, সবজি ও বাঙ্গি আবাদকৃত জমি রয়েছে আরও এক থেকে দেড়শ হেক্টর।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বলেনি। এ বিষয়ে কোনো প্রণোদোনা এলে তা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
এদিকে মুন্সিগঞ্জ সদরের রমজানবেগ এলাকার শতাধিক কৃষক বাঙ্গি চাষ করে এখন দিশেহারা। এ ফসলের আয় দিয়েই অধিকাংশ কৃষকের সারা বছর চলে। সবেমাত্র ক্ষেত থেকে কৃষক বাঙ্গি বিক্রি শুরু করেছেন। কিন্তু হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে এ ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক বলেন, কিস্তি-লোন নিয়া চাষাবাদ করছি। বাঙ্গি, কুমড়া, ধুন্দুল, ভেন্ডি গতরাতের শিলাবৃষ্টিতে আমাগো স্বপ্ন শেষ হইয়া গেছে। সামনে কিভাবে চাষাবাদ করুম চিন্তা কইরা কুল পাইতাছি না। আর একটা সপ্তাহ যদি সময় পাইতাম তাইলে বাঙ্গিগুলো বিক্রি কইরা কিছু টাকা লাভ পাইতাম।
ক্ষতিগ্রস্ত অপর এক কৃষক বলেন, আমি তিন কানি মানে ৪৮০ শতাংশ জমিতে বাঙ্গি আবাদ করছি। পাশাপাশি কুমড়া ও পাট চাষ করছি। আমার দুই থেইকা আড়াই লাখ টাকা খরচ হইছে। লাভ হইতো লাখ তিনেক টাকা। গত রাতের বৃষ্টিতে সব শেষ হইয়া গেছে। কোনো ফসল আর বেচার উপযোগী নাই।
জেবি