সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে সারাদেশের ন্যায় ময়মনসিংহে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও চলছে রমরমা কোচিং সেন্টারগুলো। এতে শিক্ষার্থীরা অস্বস্তিপ্রকাশ করলেও শিক্ষক এবং অভিভাবকের কারণে কোচিংয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।
তবে যারা কোচিং খোলা রেখে নীতিবর্হিভূত কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা কর্মকতার্রা।
গত কয়েকদিনে ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড তাপদাহে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে বন্ধ রয়েছে স্কুল—কলেজ।
রোববার (২১ এপ্রির) সকালে নগরীর বাউন্ডারী রোড, নাহা রোড, কলেজ রোড, জিলা স্কুল রোডসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রায় চার শতাধিক কোচিং সেন্টার চালু রয়েছে। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসিয়ে করানো হচ্ছে ক্লাশ। অনেক শিক্ষার্থীরা বলছেন, গরমের মধ্যে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখলেই তাদের জন্য ভালো হয়।
সজীব স্যারের গণিত প্রাইভেট প্রোগ্রামের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনুপম রায় বলেন, কোর্চি সেন্টারে গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করতে কিছুটা কষ্ট হয়। এখন অনেক গরম বাসা থেকে বের হতেই মন চায় না। স্যারেরা যদি কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতো তাহলে ভালো হতো।
নবম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী আফিয়া জান্নাত বলেন, স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হয় না; এখন কোচিংয়ে না আসলে পড়া কিভাবে হবে। স্কুল খোললেই তো আবার আমাদের পরীক্ষা। যদি প্রচণ্ড রোদের মধ্যে কোচিংয়ে আসতে আমাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তারপরেও আশা করছি আল্লাহর রহমতে কিছু হবে না।
অভিভাবক রাকিবুল ইসলাম বলেন, বছরের ছয়মাস বিভিন্ন কারণে স্কুল বন্ধ থাকে। শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট এবং কোচিংয়ের ওপর নির্ভর করে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। তবে এখন সরকারের স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যৌক্তিক। কোচিংয়ের বন্ধে যদি কোনো নির্দেশনা আসে; তাহলে হয়তো শিক্ষকরা বন্ধ রাখবেন।
সজীব স্যারের গণিত প্রাইভেট প্রোগ্রামের শিক্ষক সজীব আহম্মেদ বলেন, হঠাৎ করে স্কুল বন্ধ হওয়ার বিষয়টি জানা নেই। সব শিক্ষকরাই কোচিং চালাচ্ছেন; তারা যদি বন্ধ করে দেন তাহলে আমিও বন্ধ করে দেব। এতে শিক্ষার্থীরাই ক্ষতির সম্মুখীন হবে। গরমের জন্য ক্লাসে অতিরিক্ত পাকা লাগানো হয়েছে।
ময়মনসিংহ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই মাস পরে এইচএসসি পরীক্ষা। তাই তাদের স্পেশাল ক্লাসের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। যদি সমস্যা মনে করি তাহলে তা বন্ধ করে দিবো। এ বিষয়ে সব শিক্ষকরা বসে সিদ্ধান্ত নেব।
যারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে তাদের বাহিরে আনতে কোচিং অব্যাহত রেখেছেন, তারা নীতিবর্হিভূত কাজ করছে জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নজরে নিয়ে এবং সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে শিক্ষকদের উচিত সব ধরনের কোচিং প্রোগ্রাম বন্ধ রাখা।
অভিযোগ পেয়ে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোচিং পরিচালনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
আরএ