সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শিক্ষা সনদ ও বয়স জালিয়াতি করে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. তারা মিয়ার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গত ২০ মার্চ তদন্ত করে এমন জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সায়েদুল ইসলাম নামের স্থানীয় সুশীল সমাজের এক প্রতিনিধি।
অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে গত ৩ এপ্রিল তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস। তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, শিমু চৌধুরী, মো. সুজন আলম। আগামী ৩০ এপ্রিল এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত তারা মিয়া সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী এলাকার ফাইজুদ্দিনের ছেলে। অভিযোগকারী সায়েদুল ইসলাম একই এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মো. তারা মিয়া কোনো বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেননি। অথচ ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার ভালুম আতাউর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের একটি জাল অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদ দাখিল করেছেন। এছাড়া তার জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ অনুযায়ী চাকরি নেওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৪৫ বছর। নিয়োগ সার্কুলার অনুযায়ী বয়স নির্ধারিত ছিল ১৮ থেকে ৩০ বছর। সে অনুযায়ী বয়স জালিয়াতি করেছেন ১৫ বছর। ভোটার আইডি কার্ড থাকা সত্বেও বয়স কমিয়ে একটি জন্ম নিবন্ধন বানিয়ে দাখিল করেছেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে তারা মিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্রে অনুলিপিতে উল্লেখ রয়েছে শিক্ষাগতযোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি। এ বিষয়ে তিল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়া হলে তিনি পত্রের মাধ্যমে জানান তার দপ্তরে তারা মিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো নথি না থাকায় তথ্য প্রদান করা গেলো না মর্মে জানান। এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়েও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া তারা মিয়ার দাখিলকৃত শিক্ষা সনদ যাচাই করতে ভালুম আতাউর রহমান স্কুল এন্ড কলেজে যোগাযোগ করা হলে তার লেখাপড়ার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী সায়েদুল ইসলাম জানান, তিল্লী সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী মো. তারা মিয়ার চাকুরি নেওয়ার সময় তদকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ম্যানেজ করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন এমন কথা অনেকদিন ধরেই এলাকায় কানাকানি হচ্ছে। তাই এলাকার সচেতন নাগরিক হিসেবে তদন্ত করে এমন জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত তারা মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার জানান, তারা মিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএইচ