সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসছে প্রায় ৪৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে।
জাটকা রক্ষা ও মাছের অভয়াশ্রম নিশ্চিত করতে ১ মার্চ থেকে সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। জেলার মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচরের চর ভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।
জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করে। সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের সভা হয়েছে। পদ্মা-মেঘনা উপকূলীয় জেলেপাড়াগুলোতে জেলেদের অংশগ্রহণে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। আইন অমান্য করে যেসব জেলে নদীতে মাছ আহরণ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সরেজমিন সদর উপজেলার মেঘনা উপকূলীয় জেলেপাড়া আনন্দবাজার এলাকায় গিয়ে জেলেদের সঙ্গে কথা হয়। জেলে জালাল দেওয়ান ও হৃদয় হোসেন বলেন, তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়, তাতে তাদের সংসার চলে না। এরপর তাদের ঋণ থাকে। এই সময় বেকার হয়ে পড়ায় তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা নেই। তারা সরকারি সহযোগিতা বাড়ানোর দাবি জানান।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই মাসের অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে নৌ পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, আইন অমান্য করে কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাটকা রক্ষায় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদের ৪ মাসে ৪০ কেজি করে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। জাটকা রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
জেবি