সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুরে হিন্দু মহাদেব মন্দির ও শ্মশানের জায়গা থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও সুপ্রিম কোর্টের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজার চত্বরে হিন্দু মন্দিরের শ্মশান কমিটির উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে হিন্দু মন্দির ও শ্মশান কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার দত্তের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার দত্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ সম্পাদক সাচ্ছু মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী খায়রুল আলম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল দেব, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুজন দত্ত, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র চৌধুরী, সাদ্দাম হোসেন, সুহিলপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নিশি কান্ত রিশি, রাশেদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বকুল হাজারী, পল্লী চিকিৎসক নয়ন মনি দেব, বাকাইল গ্রামের হিন্দু সমাজের সভাপতি অমৃত লাল দাস, হিন্দু মহাদেব মন্দির ও শ্মশান কমিটির উপদেষ্টা সুকান্ত দাস প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সুহিলপুর মৌজার ১২৬৫ দাগে ৩১ শতক ভূমিতে সনাতন ধর্মের মৃত ব্যক্তিদের শেষকৃত অনুষ্ঠানাদি পালন করে দাহের কাজ সম্পন্ন করে আসছিল। কিন্তু অবৈধ জবর দখলদারদের জোরপূর্বক দখলের কারণে দীর্ঘদিন পূর্বে সৎকার বা দাহ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া এই ভূমিতে বিগত এস.এ জরিপমলে জরিপ কর্মচারিদের গাফিলতির কারণে নালিশা ভূমি খাস খতিয়ান হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়। এতে এলাকার কিছু জবর দখলকারী ভূমি দস্যুরা মন্দিরসহ শ্মশান ভূমিটি অবৈধভাবে দোকাপাট নির্মাণ করে। দীর্ঘ ৩০ বছর মামলা-মোকদ্দমা শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট থেকে শ্মশ্মানের পক্ষে রায় দিয়েছে। কিন্তু রায় ঘোষণার ৬ মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এদিকে একটি কুচক্রি মহল জায়গাটি লিজ নেওয়ার পায়তারা করছে। বক্তারা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেইসঙ্গে দ্রুত আদালতের রায় বাস্তবায়িত না হলে এবং শ্মশ্মানের ভূমি নিয়ে কোনোরকম পায়তারা করলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম শেখ ভূমিটিকে খাস জমি দাবি করে বলেন, উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেওয়া আছে। যখন প্রয়োজন হবে তখন খাস জমি থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। এছাড়া বি.এস জটিলতায় মন্দির ও শ্মশ্মানের ভূমি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএস এ কোনো রকম জটিলতা হয়ে থাকলে উপযুক্ত তথ্যাদি দিয়ে আদালতে আশ্রয় নিলে আদালত যে রায় দেন তা মেনে নেওয়া হবে।
জেবি