সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চট্টগ্রামে এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও মডেলের ছবি অ্যাপসের মাধ্যমে বিকৃত করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পাঁচ নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ( ২২ ফেব্রুয়ারি) পর্নোগ্রাফি আইনের এই মামলার শুনানি নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাহউদ্দিন এ আদেশ দেন।
এর আগে, গতকাল বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তাদের গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানা পুলিশ। বাদী প্রীতি আচার্য্য ও আসামিরা উভয়েই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- শিক্ষানবিশ আইনজীবী শামছুন্নাহার মুক্তা ও তার বড় বোন কামরুন নাহার তারা, রুপা আক্তার, সুমাইয়া আক্তার ও উর্মি আক্তার। তারা সবাই নগরীর খুলশী থানার টাইগারপাস রেলওয়ে বাজার কলোনি ৭৩৪/১ বসবাস করেন।
নগরীর আকবর শাহ থানার এসআই আশহাদুল ইসলাম বলেন, পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় দুই বোনসহ পাঁচ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসাইন আজাদ জানান, বাদী ও আসামি উভয়পক্ষই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাদীকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য করা হয়।
এ নিয়ে ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি লেখালেখি নিয়ে মামলাটি হয়েছে। পর্নোগ্রাফির ঘটনার মতো তেমন কোনো আলামত আদালতে দেখাতে পারেনি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বাদী প্রীতি আচার্য্য পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভিার্সিটিতে এলএলএম পড়াশোনার পাশাপাশি মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িত। তিনি ছাত্রলীগ কর্মী হওয়ায় চট্টগ্রাম-৪ আসনের আসনভিত্তিক জাতীয় নির্বাচনে একটি এলাকার সমন্বয়ক টিমের সদস্য নির্বাচিত হন।
এতে অভিযোগ করা হয়, বাদীর সিনিয়র অনেক নেতাকর্মী তথা আসামিরা দায়িত্ব না পাওয়ায় প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে নির্বাচনের সময় ফেসবুকে পোস্ট করা বেশকিছু ছবি সংগ্রহ করেন।
এরপর বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে সেগুলো বিকৃত করে অশ্লীল ছবি তৈরি করেন। পরে গত ২ থেকে ৪ জানুয়ারি বাদী প্রীতির ফেসবুকে করা রাজনৈতিক বিভিন্ন পোস্টে আসামিরা কমেন্ট করে চরিত্র হননের চেষ্টা করেন।