দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীদের ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করছে, মানুষ হত্যা করছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মারছে। রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে আগুন দিচ্ছে। তাদের ধরিয়ে দেন, শাস্তি দেন।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনি জনসভায় এই আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। কারও কাছে মাথা নত করে নয়। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় বিএনপি-জামায়াত জোট অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্ত পরায়ণতা বন্ধ করতে হবে। যে যেখানেই আছেন, যারা আগুন দেয়, ক্ষতিগ্রস্ত করে, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে। তাদের ধরিয়ে দেন, তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেন। এটাই সবার প্রতি আমার আহ্বান।
নতুন ভোটারদের প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের যারা নতুন ভোটার তাদের প্রতি আমার আহ্বান, এই ভোট যেন ব্যর্থ না হয়। তাই যারা নতুন ভোটার শুধু কোটালীপাড়া বা টঙ্গীপাড়া নয়, সারাদেশের নতুন ভোটারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দিয়ে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি- তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানসহ পাকিস্তানি দোসরদের চক্রান্তে ১৫ আগস্ট আমরা আপনজন হারিয়েছিলাম। আমাদের দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। আমি খুনিদের বিচার করেছি। আমাকে অনেকেই তখন বলেছিল তুমি পারবে না, তোমাকেও ওরা মেরে ফেলবে। আমি বলেছি, জীবনের মায়া করি না। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাব। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এ দেশে চলতে পারে না। খুনিদের বিচার এ দেশে হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে অনেক বাধা এসেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিচার শুরু হওয়ার পর সাক্ষী দেওয়ার লোক পাওয়া যায় না। বিচার করতে যেয়ে খালেদা জিয়া বাধা দিয়ে হরতাল ডাকলো, যাতে জজ সাহেব কোর্টে যেতে না পারেন। রায়ের দিনও খালেদা জিয়া হরতাল ডেকেছিল।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। এরপর জিয়াউর রহমান তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জাতির পিতা যাদের কারাগারে ভরেছিলেন, জিয়াউর রহমান তাদের মুক্তি দিয়েছেন। যারা পাকিস্তান চলে গিয়েছিল তাদের সেখান থেকে ফিরিয়ে এনে মন্ত্রী বানায়, গাড়িতে পতাকা তুলে দেয়। কিন্তু কেউ রেহায় পায়নি। সবারই বিচার হয়েছে। এ দেশে কেউ অপরাধ করে পার পাবে না।
এসময় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাদের বিচার কার্যকর করি। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ কলঙ্কমুক্ত করেছি। আপনাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছি।
ডিপি/