দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সড়ক সংস্কারের মাস না পেরোতেই ভিটুমিনমিশ্রিত পাথর-সুড়কি উঠে যাচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের সময় গর্ত হয়ে দেবে যাচ্ছে। এমন দৃশ্য দেখা গেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চারপাশে অভ্যন্তরীণ সড়কে।
মাসখানে আগে এই সড়কটি সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে বান্দরবান গণপূর্ত বিভাগ। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সরকারি উন্নয়ন কাজের এমন চিত্র দেখে সচেতন মহল ক্ষোভ জানিয়েছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ও পেছনের সড়কে বিভিন্ন স্থানে পাথর-সুড়কি উঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এ সময় একটি জায়গায় মোটরসাইকেল পার্কিং করা হলে স্ট্যান্ডের ভারে দেবে যেতে দেখা যায় কার্পেটিং। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী সরকারি চাকরিজীবীরা জানান, সড়কটি সংস্কারের সময় বালি ব্যবহার করা হয়নি। ভিটুমিনের সঙ্গে কালো তেল ব্যবহার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ভিটুমিন দেওয়া হয়নি। যার কারণে মাস না পেরোতেই সড়কে পাথর-সুড়কি উঠে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বান্দরবান গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সুমিত রায় জানান, যেখানেই নষ্ট হবে সেখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরও এক বছর পর্যন্ত মেরামত করে দেবে। তবে তিনি সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
যোগাযোগ করা হলে উপসহকারী প্রকৌশলী ফয়েজুর রহমান বলেন, এটাতো পুরো কাজের কোনো পার্সেন্টে পড়বে না। রাস্তার সব জায়গায় হলে একটা কথা ছিল। ২-৪ ফুট জায়গায় সমস্যা হলে সমাধান করে নেবে গণপূর্ত। ঠিকাদারের জামানত জমা থাকে এক বছর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছর বান্দরবান গণপূর্ত বিভাগ থেকে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কার কাজ করেন চৌধুরী বির্ল্ডাস প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মো. ফারুখ চৌধুরী। স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদার জানিয়েছেন, বান্দরবান গণপূর্ত বিভাগ সিন্ডিকেট ঠিকাদারের দখলে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। অনেক সময় বিভিন্ন কাজের ঠিকাদারীর সঙ্গে প্রকৌশল বিভাগের লোকজন পর্দার আড়াল থেকে সম্পৃক্ত থাকে। যার কারণে তারা মিলেমিশে যাচ্ছেতাই কাজ করেন।
এই বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বান্দরবান গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মি চাকমা বলেন, আমি বাইরে আছি। সরাসরি এসে কথা বলেন বলে মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন।
জেবি