সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে পিরোজপুর জেলায় ঝড়ো আবহাওয়া বিরাজ করছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করলেও সন্ধ্যার পরপরই বেড়েছে বৃষ্টির তীব্রতা।
জেলার কঁচা, বলেশ্বের, কালিগঙ্গাসহ বৃহৎ নদ-নদীগুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। ঝুঁকিতে রয়েছে নিন্মাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে মানুষজনকে রাস্তায় দেখা যায়নি। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিন্মআয়ের মানুষ।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অতি বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে হাট-বাজারে দোকানপাট অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে। রাস্তা-ঘাটে কোনো মানুষজন নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষকের চাষকৃত আমন ধানের।
প্রবল ঝড়ো বাতাসে ধানসহ সদ্য ধানের শিষ বেরোনো আমন ধানের গাছ সব পানিতে শুয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন চাষি ও কৃষকরা। এছাড়াও রবি শষ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকের। এভাবে অবিরাম বৃষ্টি ও বাতাস হলে গাছের গোড়ায় পানি জমে শাক-সবজিতে পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে।
অপরদিকে জেলার সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ জেলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ আঘাত হানার আশঙ্কা থাকলেও এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো সাইক্লোন শেল্টারে বা আশ্রয়কেন্দ্রে কাউকে আশ্রয় নিতে দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, জেলার সাতটি উপজেলায় ৫৬১ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবিলায় জেলা শহরসহ সাতটি উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের কাছে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা, ৪৬ বান্ডিল টিন, ৪১২ মেট্রিক টন চাল এবং ৫ হাজার ৬০০ কম্বল রয়েছে।
এছাড়া দুর্গতদের সেবার জন্য ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ব ও পরবর্তী মানুষের সেবা দিতে ১৭০০ সিপিপি সদস্য ও ৩৫০ জন স্কাউট সদস্য কাজ করবেন। উপকূল এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, জেলার সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকা মঠবাড়িয়ার মাঝেরচর ও খেতাছিড়া এলাকার মানুষের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জেবি