সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বগুড়ায় বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচিতেও উত্তপ্ত হয়ে আছে সদর থানা এলাকা। সকাল থেকেই মাটিডালি, বাঘোপাড়া বন্দর ও তিনমাথা এলাকায় থেমে থেমে চলছে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বাঘোপাড়া এলাকায় মালবাহী একটি ট্রাকে মুখোশ পরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বালু আর পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ঘটনাস্থলে থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ট্রাক চালকের সহকারী শাওন নামের যুবক বলেন, মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে নির্মাণ সামগ্রীর মালামাল নিয়ে বগুড়ার মহাস্থানগড়ে এসেছিলেন তারা। সেখান থেকে মালামাল আনলোড করার জন্য বগুড়া সদরের পল্লীমঙ্গল যাচ্ছিলেন।
পথে বাঘোপাড়াতে কিছু যুবক পেছনে গোকুল থেকে অটোরিকশায় এসে ট্রাক থামাতে বলেন। তারা সাতজন ছিলেন আর সবার মুখেই মুখোশ পরা ছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই ট্রাক ভাঙচুর শুরু করে পেট্রোল ছিটাতে থাকেন দুর্বৃত্তরা। জীবন বাঁচাতে ট্রাক থেকে নেমে তিনি ও চালক পালিয়ে যান। এরপরে তারা ট্রাকে আগুন দিয়ে আবারও অটোরিকশাতে চড়ে গোকুল দিকে চলে যায়।
এ প্রসঙ্গে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম বলেন, ট্রাকটিতে নির্মাণ সামগ্রীর প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। পুলিশের ধৈর্যশীল আচরণের পরেও আন্দোলনের নামে দুর্বৃত্তরা লুকিয়ে হামলা চালাচ্ছে। দিনশেষে আইনের হাত থেকে কেউ রক্ষা পাবে না।
এর আগে একই এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে এ জে আর কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ভ্যানে থাকা গ্রাহকদের মোবাইল, ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট পুড়ে গিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
জেবি