সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নাটোরের গুরুদাসপুরে গৃহবধূ সীমা খাতুন হত্যা মামলার পলাতক মূল অভিযুক্ত স্বামী রতন আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এই মামলার আসামি নিহতের শ্বশুর, দেবর ও ভাসুরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান জানান, ১২ বছর আগে উপজেলার মশিন্দা বাহাদুরপুর গ্রামের ইউসুফ প্রাংয়ের ছেলে রতন আলীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের রাণীগ্রামের সীমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়সীমা খাতুনকে নির্যাতন করতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে সীমা খাতুন তার ভাইয়ের কাছ থেকে কয়েকবার টাকা নিয়ে এসে দিয়েছে তাদের। এভাবে তাদের নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে সীমা খাতুন আর কোনো টাকা এনে দিতে পারবে না বলে জানায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্বামী,শ্বশুর, ভাসুর ও দেবরসহ অন্যরা সীমা খাতুনকে মারধর করে। এ সময় সীমা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসে।
এর কিছুক্ষণ পর সীমা বিষ খেয়েছে বলে বলে পুনরায় তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সীমা খাতুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সীমা খাতুনের মত্যু হয়।
এ ঘটনায় সীমা খাতুনের ভাই রুবেল আহমেদ বাদী হয়ে সীমা খাতুনের স্বামী, শ্বশুর,ভাসুর ও দেবরসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিল।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার পরদিন নিহতের ভাসুর স্বপনকে বাহাদুরপুর ও গত সোমবার রাতে শ্বশুর ইউসুফ প্রাং এবং দেবর শিপন প্রাংকে পাবনার চাটমোহর থানার ছাইকোলা মিলনচর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে গ্রেপ্তার রতন আলীকে আদালতে পাঠানো হয়। এ নিয়ে মামলায় মোট চারজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেবি