সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নাটোরের গুরুদাসপুরে গৃহবধূ সীমা খাতুন হত্যা মামলার পলাতক আসামি শ্বশুর ইউসুফ প্রাং ও দেবর শিপন প্রাংকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫।
সোমবার (২ অক্টোবর) পাবনার চাটমোহর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, ১২ বছর আগে গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা বাহাদুরপুর গ্রামের ইউসুফ প্রাংয়ের ছেলে রতন প্রাংয়ের সঙ্গে একই ইউনিয়নের রাণীগ্রামের সীমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় সীমা খাতুনকে নির্যাতন করতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে সীমা খাতুন তার ভাইয়ের কাছ থেকে কয়েকবার টাকা এনে দিয়েছে। এভাবে তাদের নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে সীমা খাতুন আর কোনো টাকা এনে দিতে পারবে না বলে জানায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর শ্বশুর ও দেবর সীমা খাতুনকে মারধর করে। এ সময় সীমা খাতুন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসে। এর কিছুক্ষণ পর সীমা বিষ খেয়েছে বলে বলে পুনরায় তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সীমা খাতুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সীমা খাতুনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সীমা খাতুনের ভাই রুবেল আহমেদ বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর, দেবরসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার রাতে পাবনার চাটমোহর থানার ছাইকোলা মিলনচর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের গুরুদাসপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।
জেবি