সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মিয়ানমারের বিভিন্ন জেলে কারাভোগ শেষে ২৯ বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছেন। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কূটনীতিক প্রক্রিয়া শেষে নাফ নদী হয়ে একটি স্পীড বোটে করে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে অনুষ্ঠিত ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে তারা দেশে আসেন।
প্রত্যাবাসিতদের মধ্যে ২৩ জন কক্সবাজার, চার জন বান্দরবান এবং দুজন রাঙ্গামাটি জেলার অধিবাসী।
সীমান্ত পথে মিয়ানমারে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) তাদের বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়।
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন ২৭ সেপ্টেম্বর দেশটির জান্তা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা কামনা করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমার ৩ অক্টোবর প্রস্তাবিত পতাকা বৈঠকের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়। সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রত্যাবাসিতদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে এবং বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের চলমান প্রচেষ্টার ফল হিসেবে দীর্ঘ ১৮ মাস পরে এমন প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২৩ মার্চ ৪১ বাংলাদেশি নাগরিকের প্রত্যাবাসন করা হয়েছিল।
এদিকে মঙ্গলবার বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট সিতওয়ের কনসাল জাকির আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
জেডএ