দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বাড়াদি সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীর লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি এবং বিএসএফের পতাকা বৈঠক শেষে এই লাশ হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বাড়াদী বিওপি সীমান্তে বিজিবি টিমসহ ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সমন্বয়ে পতাকা বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়।
পতাকা বৈঠক শেষে দামুড়হুদা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সাজজুল হক (৩৫) ও শরীয়তউল্লাহর ছেলে খাজা মইনুদ্দীনের (৪২) মরদেহ বিজিবির হাতে হস্তান্তর করে। গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে দামুড়হুদা উপজেলার বাড়াদি সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৮২ নম্বর প্রধান খুঁটির কাছাকাছি ভারতের ৩০ গজ অভ্যন্তরে বিজয়পুর সীমান্ত এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
ঐ দিন দিবাগত রাতে বাড়াতি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গরু আনতে যান বেশ কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। এ সময় ভারতের অভ্যন্তরে বিজয়পুর সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ৩২ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোবিন্দপুর বিওপির সদস্যরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজজুর হক ও খাজা মইনুদ্দীন। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
নিহত খাজা মইনুদ্দীনের বড়ো ভাবি রুপালী খাতুন জানান, আমার দেবর খাজা মইনুদ্দীন শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী দোকানে চা খেতে যায়। পরবর্তীতে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। সকালে গ্রামের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে শুনতে পায় ভারতে গরু আনতে খাজা বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে।
জেবি