সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ছাত্রলীগ নেতা মারুফ আদনান। দীর্ঘদিন ধরে তার কর্মীদের নিয়ে কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে এক ভাতের হোটেলে নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করতেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে বিল বাকি রেখে চলে যেতেন। সাত মাসে বকেয়া বিল দাঁড়ায় প্রায় ৩ লাখ টাকায়। পরে বকেয়া টাকা চাইলে হোটেলের মালিক ও কর্মচারীদের মারধর করেন ছাত্রলীগ নেতা ও তার কর্মীরা। এ সময় তারা ক্যাশে থাকা ৩০ হাজার টাকাও লুট করেন।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেন হোটেল মালিক সাহাব উদ্দিন। ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এরপর নড়েচড়ে বসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। তারা ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
রোববার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ মারুফ আদনান।
অভিযোগ যাচাইয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি কমিটিতে আছেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি খাদিমুল বাশার জয়, রবিউল হাসান রানা, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম শাকিলও উপ-আইন সম্পাদক আহসান হাবীব সজীব।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের বিরুদ্ধে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর একটি রেস্টুরেন্টে ৭ মাস খাবার খেয়ে বিল না দেওয়ার অভিযোগ তোলে রেস্টুরেন্ট মালিক সাহাব উদ্দিন। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দেন তিনি। পরে এ বিষয়ে জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়। যার প্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক মারুফ আদনানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া কমিটিকে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এফএইচ