সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নারী নির্যাতন মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন নূর হোসেন বাদল (৩২)। রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাতে তার বুকের ওপর বসে কলম দিয়ে দুচোখ উপড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে মহিউদ্দিন (৩৩) নামে এক হাজতি।
রোববার (১ অক্টোবর) ভোর ৬টার দিকে নোয়াখালী জেলা কারাগারের নিচ তলার ১নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
আহত নূর হোসেন বাদল বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ও অভিযুক্ত মহিন উদ্দিন একই এলাকার হুমায়ন কবিরের ছেলে।
জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে বেগমগঞ্জের একলাশপুরের একটি নারী নির্যাতন মামলায় জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নূর হোসেন বাদলকে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়। পরে ওই মামলায় তিনি জামিন পেলেও অপর আরেকটি মামলায় তার বিচারকার্য চলমান থাকায় তাকে কারাগারে রাখা হয়।
কারাগারের নিচ তলার একটি কক্ষে অপর হাজতিদের সঙ্গে থাকতেন বাদল। গত দুই মাস আগে বাদলের এলাকা একলাশপুর ইউনিয়নের মহিন উদ্দিনকে মাদকদ্রব্যসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড হওয়ার পর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন তিনি।
কারাগার কর্তৃপক্ষ জানান, দুই আসামির পারিবারের লোকজন জানিয়েছেন মহিন উদ্দিনকে আটক ও পুলিশে সোপর্দ করার পেছনে নূর হোসেন বাদলের মামাদের হাত রয়েছে। এর আগে কোনো একসময় বাদল চোখ তুলে নেবে বলে মহিনকে হুমকি দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এসব ঘটনার জের ধরে রোববার ভোর ৬টার দিকে অন্য হাজতিরা ঘুমে থাকার সুযোগে কারাগারের দ্বিতীয় তলা থেকে নেমে এসে নূর হোসেন বাদলের বুকের ওপর বসে কলম দিয়ে তার দুই চোখ উপড়ে ফেলার উদ্দেশ্যে আঘাত করেন মহিন উদ্দিন। এ সময় বাদলের চিৎকারে অন্য হাজতি ও কারারক্ষীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার মো.জাবেদ হোসেন জানান, এ ঘটনার পরপরই আহত কয়েদি নূর হোসেন বাদলকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে সেখান থেকে ঢাকা জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার দুই চোখে কলম দিয়ে আঘাত করার কারণে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।