সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মানিকগঞ্জে সাত বছরের ছেলেসহ বিষপান করেছেন মিতা সরকার (৩০) নামে এক গাইনী চিকিৎসক। বিষপানে হাসপাতালে শিশু রনজয় মন্ডল রুশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা সদর হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়। অপরদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুপুরে ডা. মিতা সরকারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. রঞ্জিত মন্ডলের ছেলে ডা. রঞ্জন মন্ডলের সঙ্গে ৮-৯ বছর আগে মিতার বিয়ে হয়। মিতা সরকার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার নারায়ন সরকারের মেয়ে। বিয়ের পর তাদের সংসারে রুশুর জন্ম হয়। দুই বছর আগে মিতা ও রঞ্জনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর থেকে মিতা তার সন্তান রুশুকে নিয়ে শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকার খান মজলিস টাওয়ারের ৬ তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। পাশাপাশি তিনি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রমা জেনারেল হাসপাতালের নিয়মিত গাইনি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ডা. মিতা কী কারণে ছেলেসহ বিষপান করেছেন তা জানা যায়নি। তবে নিহত শিশুর দাদা ডা. রঞ্জিত মন্ডলের দাবি, তার নাতিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ডা. মিতা রানী তার কর্মস্থলের আরেক চিকিৎসক অর্ঘ্য সরকারের সঙ্গে পরকীয়াসহ বিভিন্ন অবৈধ সম্পর্কে জড়িত ছিল। পরকীয়ার কারণেই সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এদিকে মিতার কথিত প্রেমিক সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো এ্যানেস্থেসিয়ার চিকিৎসক অর্ঘ্য সরকার জানান, মিতা তার ভালো বন্ধু ছিল। মিতা তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল। বিচ্ছেদের পর থেকে সে অনেক হতাশায় ভুগছিল। হতাশা থেকেই এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।
মানিকগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের জন্য মর্গে স্থানান্তর করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই চিকিৎসক সন্তানসহ বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এইউ