সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
দেশের বৃহত্তর জেলা রাঙামাটি। এ জেলার প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি দেখে মুগ্ধ হয়নি এমন মানুষ কমই আছে। এ জেলার রূপ বৈচিত্র্যকে কাজে লাগিয়ে আশির দশকে সরকার এ জেলাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। তবে এতো বছর পার হলেও এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পে কোনো গতি নেই। এদিকে ব্যক্তি পর্যায়ে কিছু পর্যটন স্পট গড়ে উঠলেও অর্থ সংকট কিংবা সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতা না থাকায় সেভাবে এগুতে পারছে না।
একদিকে পাহাড় অন্যদিকে কাপ্তাই হ্রদ মিলেমিশে একাকার। এমন রূপ দেশের অন্য কোথাও নেই। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ছুটে আসে শহরের অবসাদ দূর করতে। তবে এখানে এসে বেশিরভাগ পর্যটককে বিষণ্ন মনে ফিরতে হয়। চাহিদা মানের হোটেলে-মোটেলের অভাব, অটোরিকশা ব্যথিত বিকল্প যানবাহনের ব্যবস্থা না থাকা, এছাড়াও প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটির সিম্বলখ্যাত ঝুলন্ত সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে থাকে।
পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, পরিকল্পনা মাফিক পর্যটন স্পট গড়ে তোলা, পর্যটন খাতের উন্নয়নে নতুন নতুন বিনোয়োগকারী সৃষ্টি করা, ট্যুরিস্টদের সেবার মান বাড়ানো, খাবারের মান বৃদ্ধি করতে হবে।
এদিকে পর্যটকরা বলছেন, যথা নিয়মে হ্রদের পানি সীমাবদ্ধ রাখা, ঝুলন্ত সেতুটি নতুন করে প্রতিস্থাপন বা পানিতে ডুবে যেতে না পারে মতো উঁচু স্থানে প্রতি স্থাপন করতে হবে। তাহলে রাঙামাটির পর্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটবে।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা ট্যুারিস্ট অমল সরকার বলেন, এখানে নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এখানে টুরিস্টদের বসার কোনো ভালো স্থান নেই। চারদিকে অপরিষ্কার, ময়লা আবর্জনা এগুলো দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটক রবিন বলেন, অনেক আশা নিয়ে ঝুলন্তু সেতু দেখতে এসেছি কিন্তু সেই প্রত্যাশিত সেতুটি পানির নিচে। এতে আমাদের মন খারাপ হয়ে গেল।
পর্যটন নৌঘাটের বোট চালক মো. আলমগীর বলেন, বর্তমানে পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় এখন আর পর্যটক সমাগম হচ্ছে না। তিনি বলেন, অন্যান্য বছর এখানে শত শত পর্যটক ঘুরতে আসতো।
রাঙামাটি পর্যটনের এলাকার বনানী হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় কর্মী তৃণা চাকমা বলেন, বেচাকেনা তেমন নাই বললে চলে। ঝুলন্ত সেতু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পর্যটকরা এখন আর আসছেন না। এতে আমাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমা জানান, পর্যটন দিবস উপলক্ষে রাঙামাটিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাঙামাটি জিমনেসিয়াম মাঠ প্রাঙনে শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী পর্যটন মেলা।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও পর্যটন বিভাগের আহ্বায়ক নিউচিং মারমা বলেন, সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে জেলার পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাতে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাড়াচ্ছে বাজেট। ইতোমধ্যে রাঙামাটি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
জেবি