সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলসহ ১৭০ জন নেতাকর্মীর নামে নাশকতার মামলা করেছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। এরমধ্যে ৫০ জনের নাম ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যরা অজ্ঞাত।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, রুবেলকে মামলার এক নম্বর আসামি (হুকুমের আসামি) করা হয়েছে। রুবেল ওই এলাকার তিনবারের বিএনপির দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা।
পুলিশের দাবি নাশকতার উদ্দেশ্যে রাত আটটার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বৈঠক করছিলেন। সেখান থেকে তাদের ধরা হয়েছে। তবে পরিবার ও বিএনপি বলছে- পুলিশ সবাইকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
আটক নেতাকর্মীর মধ্যে রয়েছেন- উপজেলার সিংগাবরুণা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোখলেছুর রহমান, সিংগাবরুনা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মুহাম্মদ শাহজাহান চাঁন, রাণীশিমুল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্লাত হোসেন আকন্দ, কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার ইসলাম রানা, একই ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইস্রাফিল হোসেন, তাঁতীহাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনোহর আলী, একই ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য আমির হামজা, যুবদলের সদস্য রতন মিয়া।
এদিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাহমুদুল হক রুবেল। বানোয়াট মামলা হতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরে আসতে তিনি অনুরোধ জানান।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান দাবি করেন- অস্ত্রসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্থানীয় কাকিলাকুড়া মিশু মডেল একাডেমি মাঠে গোপন বৈঠক করছিলেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে তাদের আটক করে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে ৪টি ককটেল, দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, ৪টি দা পাওয়া গেছে। মামলার পর সবাইকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জেডএ