সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গুমের ৭ দিন পর পটুয়াখালীতে লবণ মাখা অবস্থায় পলিথিনে মোড়ানো শিশু রাতুলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসামিরা হলেন সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী গ্রামের মফেজ মাতুব্বরের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও পার্শ্ববর্তী জৈনকাঠী ইউনিয়নের সেহাকাঠী গ্রামের এনছান হাওলাদারের ছেলে মো. হানিফ হাওলাদার (৪১)।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিং করে। রাতুল আউলিয়াপুর হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় শিশু রাতুলের পিতা গোলাম রহমান লিটন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, গোলাম রহমান লিটন ঘরামীর ছেলে রাতুলকে সাইকেল ক্রয়ের জন্য ১৪ হাজার টাকার লোভ দেখিয়ে মালামাল লুটে নেয়ার পরিকল্পনা করে আনোয়ারসহ আসামিরা। তাদের পরিকল্পনা মতে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ছেলে রাতুলের মাধ্যমে ঘুমের ওষুধ (চেতনানাশক ওষুধ) খাবারে মিশিয়ে তার বাবা, মা আছমা বেগম ও দাদি রিজিয়া বেগমকে অচেতন করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা গভীর রাতে ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে সামনের দরজা খুলে ঘর সংলগ্ন মালামালের ডেকোরেটর দোকান থেকে সাউন্ড সিস্টেমের বিভিন্ন দামি সরঞ্জামাদি, অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনা যাতে জানাজানি না হয় সে জন্য ঘটনার একমাত্র সাক্ষী ভিকটিম শিশু রাতুলকে রাতেই তাদের নিজ বসতঘরে মুখ চেপে ধরে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিয়ে যায় আসামি আনোয়ার।
পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ভিকটিমের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব আউলিয়াপুর গ্রামের জনৈক মো. জয়নাল বিশ্বাসের বাড়ির পেছনে পরিত্যক্ত টিনশেড (ইটের ওয়াল) ঘরের কাঁচা মেঝের পশ্চিম দক্ষিণ কোনে ৫ ফুট মাটির গভীরে লাশের গায়ে লবণ দিয়ে পলিথিনে মুড়িয়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে চোরাইকৃত মালামাল আসামি মো. হানিফ হাওলাদারের বসতঘরের পেছনে রান্নাঘরের মাটির নিচ থেকে সাউন্ড সিস্টেমের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি এবং বসতঘরের পেছনে ডোবা থেকে অটোরিকশার ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদেরকে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে। মামলার তদন্ত চলছে।
এইউ