সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নরসিংদীতে শাহিন মিয়া নামে এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকে আদালতের সামনে থেকে অপহরণ করে বিকাশে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শাহিন মিয়া।
অভিযোগে আলোকবালী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য হাবিব মিয়া (৪২) ও একই এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে মিটল মিয়ার (৪০) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়। এর আগে রোববার দুপুরে নরসিংদী আদালতের ৩নং গেইটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের সঙ্গে রাজনৈতিক ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আসাদ উল্লাহর আইনজীবী সমিতির চেম্বার থেকে বের হন শাহিন। পরে নরসিংদী আদালতের ৩নং গেটের সামনে পৌঁছলে তাকেসহ একই এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে রাহীমকে ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি দুটি সিএনজির মাধ্যমে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মারধর করে। এসময় তাদেরকে মারধর করার সময় সন্ত্রাসীরা বারবার প্রতিপক্ষ হাবি মিয়া ও মিটল মিয়ার কথা বলছিল।
তাদের দাবি ছিল, তাকে হত্যা করার জন্য ১ লাখ টাকার চুক্তি করেছে প্রতিপক্ষরা। এখন আমি বাঁচতে চাইলে তাদেরকে দেড় লাখ টাকা দিতে হবে। পরে প্রাণ ভয়ে নিজের বিকাশ থেকে দুটি নম্বরে ২৫ হাজার করে ৫০ হাজার ও আরেকজনের বিকাশ থেকে ২১ হাজারসহ ৭১ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে তাদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নরসিংদী জজ আদালতের আইনজীবী আসাদ উল্লাহ বলেন, আইনি সেবা নিতে শাহীন মিয়া আমার চেম্বারে এসেছিলেন। পরে ফেরার পথে যেখান থেকে তাকে জিম্মি করে তুলে নেওয়া হয়। তাকে দুই ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে টাকা পেয়ে ছেড়ে দেয়। পরে সে বাইরে বের হয়ে জিজ্ঞাসা করলে লোকজন জানায় এটা ব্যাংক কলোনি। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামিদেরকে খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত মিটল মিয়া বলেন, আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি যদি অপহরণ করাতাম তাহলে অপহরণকারীরা কী আমার নাম বলত। আমার স্ত্রী ইউনিয়নের প্যানেল মেয়র। আমাদের মধ্যে রাজনীতির কারণে পক্ষ-বিপক্ষ আছে কিন্তু কোনো বিরোধ নেই। আমি চাই তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসন যেন প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বের করে।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, এই ঘটনায় আলোকবালীর আবির এবং মুরাদনগর গ্রামের সুজন নামে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ। নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বলেন, আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে থানায় নিয়ে এসেছি। আমরা রহস্য উদঘাটনে কাজ করছি।
এইউ