সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বগুড়ায় ইজিবাইক ছিনতাই করতে কাছের এক বন্ধুকে খুন করেছে দুই বন্ধু। তাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আরও চারজন। নারী সঙ্গের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে তাকে খুন করা হয়। মূল অভিযুক্ত দুজনের নাম এমদাদুল হক মিলন ও আনোয়র হোসেন। আর ভুক্তভোগীর নাম মুকুল হোসেন।
এমদাদুল ও আনোয়রসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে করাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, শনিবার দিবাগত রাতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ বগুড়া, পাশ্ববর্তী নাটোর ও রাজশাহী জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার অন্য চারজন হলেন- নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আব্দুল জলিল সবুজ, সুবহান আলী, রাজশাহীর চারঘাটের ঝন্টু ওরফে বেলাল ও নাজিরুল ইসলাম।
আজ বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।
জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বগুড়ার শেরপুর হাটদিঘী গ্রামের বাসীন্দা মুকুল ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সেদিন রাতে মুকুল বাড়ি না ফেরায় এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। পরদিন শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বগুড়ার নন্দীগ্রামের চকলমা গ্রামে সড়কের পাশে ধান ক্ষেত থেকে মুকুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম নন্দীগ্রাম থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে তদন্তে নেমে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতভর অভিযান চালিয়ে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা মুকুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা স্নিগ্ধ আখতার বলেন, গ্রেপ্তার এমদাদুল ও আনোয়র নিহত মুকুলের পূর্ব পরিচিত ও কাছের বন্ধু। ১৫ সেপ্টেম্বর তারা মুকুলকে শেরপুর উপজেলার ধুনট মোড়ে নারি সঙ্গের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নেন। সেখান থেকে মুকুলের ইজিবাইকে চড়ে এমদাদুল ও আনোয়ার শুভগাছা বাজার হয়ে বগুড়ার নন্দীগ্রামের চকলমা গ্রামে একটি ধান ক্ষেতের পাশে এসে দাঁড়ায়। পথে যৌন উত্তেজক পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে মুকুলকে খাইয়ে দেওয়া হয়। গল্পের ছলে মুকুল জ্ঞান হারালে এমদাদুল ও আনোয়ার ধান ক্ষেতের আইলের পানিতে মুকলের মাথা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ধান ক্ষেতে মুকুলের মরদেহ ফেলে রেখে তারা ইজিবাইকটি নিয়ে নন্দীগ্রামের রনবাঘাতে যায়। সেখানে তাদের আরেক সহযোগী জলিল একটি সিএনজি ভাড়া করে রশির সঙ্গে ইজিবাইক বেঁধে নাটোরের সিংড়াতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে অপর আরও দুই সহযোগী সুবহান আলী ও ঝন্টুর সহযোগীতায় ইজিবাইকটি ১৫ হাজার টাকায় নজরুলের কাছে বিক্রি করে।
স্নিগ্ধ আরও বলেন, ঘটনার পরপরই জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ চক্রবর্তীর নির্দেশনায় নিবিড় তদন্ত শেষে এই ঘটনায় জড়িত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত দুই বন্ধুর পরিকল্পনাতেই অটোচালক মুকুল খুন হোন। ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য এই হত্যা করা হয়।
জেডএ