সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সিন্ডিকেটের হাত থেকে ভোক্তাদের পকেট কাটা রোধকল্পে সরকার বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে সরকার নির্ধারিত দামে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছেন না শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ভোক্তারা। তাই ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এ অঞ্চলে বসবাসরত নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষজন। তাদের দাবি সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করতে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে।
জানা গেছে, চলতি মাসের ১৪ তারিখ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মধ্যে সর্বোচ্চ খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৪-৬৫ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং ডিম প্রতি পিস ১২ টাকা দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় এ নিয়ম মানা হচ্ছে না।
সরেজমিনে আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ি বাজার, জিরানী, শিমুলিয়া, বলিভদ্র, বাইপাইল, পল্লীবিদ্যুৎ, জামগড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত দামের কোনো প্রভাব পড়েনি এসব বাজারে। অধিকাংশ বাজারের দোকানিরা সরকার নির্ধারিত দামে কোনো পণ্য বিক্রি করছেন না। তারা নিজেদের ইচ্ছামতো দামে আলু, পেঁয়াজ, ডিম বিক্রি করছেন। এসব বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি এবং ডিম বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি হালি ৫২-৫৫ টাকা দরে। গোহাইলবাড়ি বাজারে কথা হয় আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। তিনি একটি মোটরসাইকেল তৈরি কারখানায় চাকরি করেন। তিনি জানান, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি কিনতে হচ্ছে। কম দামে না পেয়ে বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী কিনতে হচ্ছে। এগুলো প্রশাসনের নজরদারির কথা থাকলেও তাদের কোনো ভূমিকা চোখে পড়ে না। বাজার মনিটরিং করলে হয়তো বিক্রেতারা বেশি মূল্যে বিক্রি করতে পারত না।
জিরানী বাজারে কথা হয় প্রাইভেটকার চালক আসলাম হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, মাস শেষে ১৫ হাজার টাকা বেতন পান তিনি। এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে তার সংসারে। স্ত্রী আবার অসুস্থ। ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ দিয়ে যা থাকে তা দিয়ে সংসার চালানো দায়। কাচাঁমালের দাম এতটাই বেড়েছে যে কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজের দামটা সরকার নির্ধারিত করে দিয়েছে। কিন্তু কেউ ওই দামে বিক্রি করে না। বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, আড়ৎ থেকেই বেশি দাম দিয়ে এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে তাদের। তাই বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করছেন। তাদের দাবি আড়তগুলোতে প্রশাসন নজরদারি করলেই বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। বাজার মনিটরিংয়ের জোর দাবি জানান তারা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত থাকায় বর্তমান বাজারের পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু বলতে পারছেন না।
এইউ