সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পটুয়াখালীতে সামাজিক ভাবে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এড. গোলাম সরোয়ার এর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন বরিশাল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মার্জিয়া আরা মুক্তা।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর ) সকালে পৌর শহরের পুরান বাজার এলাকায় গোলাম সরোয়ার সিপাইয়ের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন তিনি। বাসা তালাবদ্ধ থাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় দুপুরে তিনি বাসার ভেতরে প্রবেশ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মার্জিয়া আরা মুক্তা দীর্ঘদিন পটুয়াখালী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার সঙ্গে প্রেম এবং পরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি বরিশাল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, সকাল সাড়ে এগারোটায় পুরান বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ারের বাসা তালাবদ্ধ এবং বাসার অপর প্রান্তে একটি সার বীজের দোকানে বসে মোবাইলে চার্জ দিচ্ছেন মার্জিয়া আরা মুক্তা। পরে জুমার নামাজের সময় হলে তিনি দোকান থেকে বেরিয়ে গোলাম সরোয়ারের তালাবদ্ধ বাসার সামনে বসে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকেন।
পরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে বাসার দরজা খুলে ভিতরে যেতে বললে তিনি বলেন,‘ এটা তার (গোলাম সরোয়ার) এবং তার প্রথম স্ত্রীর বাসা এখানে ঢুকবো না।’ পরে ইজ্জতহানি হচ্ছে এমন বুঝিয়ে তাকে ধরে বাসার ভেতরে প্রবেশ করান স্থানীয়রা।
এ সময়ে বরিশাল উপজেলা কর্মকর্তা মার্জিয়া আরা মুক্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,‘ এখন আমাদের দুজনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আমি আমার যুদ্ধ চালাচ্ছি আমার সম্মান বাঁচানোর। আর সে (গোলাম সরোয়ার) তার যুদ্ধ চালাচ্ছে আমাকে এড়িয়ে যাওয়ার। তার বিয়ের আগেই বিবেচনা করা উচিৎ ছিল কিন্তু সে তা করেনি। তার সেই দায়বদ্ধতা মেনে নিয়ে আমি এতদিন প্রতিটা সেকেন্ড অপেক্ষা করেছি যার কোনো মুল্যায়ন তার কাছে নাই। আর এই মূহুর্তে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে তার স্বীকৃতি আমার অত্যন্ত প্রয়োজন। যদি তা না দেয় এ ব্যর্থ জীবন আমি সামনে টানবো না এই হচ্ছে মূল ম্যাসেজ।
এসময় তিনি বলেন,‘ আমি এখানে থাকা অবস্থায় বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই এবং বিয়ে হয়েছে তা সত্যি। এখন যে অবস্থায় আছি তাতে তারও সম্মান যাচ্ছে আমারও যাচ্ছে কিন্তু তাতে কিছু করার নেই। এখন আগানো আমার পক্ষে সম্ভব না, আমি এ পরিচয় নিয়ে বাঁচতে পারবো না।
স্ত্রী স্বীকৃতি চাইলে তার বাসায় যাচ্ছেন না কেনো জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা বলেন,‘ তিনি দরজা বন্ধ করে রেখেছে যাতে আমি ঢুকতে না পারি গত পরশুদিন ও তাই করেছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার বলেন, তিনি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী, এক বছর চার মাস আগে আমার বোনের মধ্যস্থতায় বিয়ে হয়েছে। আমি খুব সকালে বাসা থেকে বের হয়েছি তাই বাসা বন্ধ পেয়ে তিনি সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এব্যপারটি নিয়ে আপনারা কিছু না করলেই ভালো হয়। এটা আমার পারিবারিক বিষয় বলে জানান।
এফএইচ