সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের পর বগুড়ার বাজারে কমেছে আলুর সরবরাহ। এ কারণে খুচরা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে (৩৫-৩৬ টাকা কেজি) আলু বিক্রি করতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করে রাখা। কর্তৃপক্ষ কম দামে বিক্রি করছে না। বেশি দামে ব্যবসায়ীরা কিনে এনে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে। এদিকে বেশি দামে বিক্রি করলে আবার জেল-জরিমানা।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান হাটে পাইকারি শেডে আলু বিক্রি হয়েছে একেবারেই কম। আর শহরের পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত রাজাবাজারে অধিকাংশ আলুর আড়তদার হিমাগারে দাম বেশি হওয়ায় আড়তে আলু কেনা-বেচা করেনি। হিমাগার থেকে কম দামে আলু না পেলে খুচরা বাজারে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব নয় বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
মহাস্থান হাটে আলুর আমদানি নেই উল্লেখ করে রাজা বাজারে ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, অন্যদিন ২০০ থেকে ৩০০ বস্তা আলু কেনা-বেচা হতো মহাস্থানে। সেখানে হাতে গোনা কয়েকজন আলু নিয়ে এসেছে বাজারে।
শিবগঞ্জ উপজেলা কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহিদুল ইসলাম বলেন, মহাস্থান বাজারে আলু তেমন ওঠেনি। যে দুই চারজন আলু এনেছিল তারা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে।
‘বাজারে ভয়ে কেউ আলু আনছে না। হিমাগার থেকে পকেটের টাকা দিয়ে বাজারে আলু কিনে এনে কে জেল-জরিমানা দিতে চায়? হিমাগার গেটে আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৫ টাকা কেজি। সেই আলু বাজারে এনে কে সরকারি দামে বিক্রি করে লোকসান দেবে? এ কারণেই বাজারে আলুর আমদানি কম।’ বলেন, রহিদুল ইসলাম।
মহাস্থান হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মটু বলেন, বাজারে বিগত দিনের চেয়ে আলুর আমদানি একেবারই কমছিল। তবে কয়েক দিন পরে আর এই অবস্থা থাকবে না, কারণ হিমাগারে বেশি দিন আলু রাখা সম্ভব নয়। যেভাবেই হোক ব্যবসায়ীদের তখন বাজারে আলু আনতেই হবে।
হিমাগার থেকে পাকরি আলু ৪৪ টাকা কেজি এবং কার্ডিনাল আলু ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। সেই আলু বাজারে এনে কোনোভাবেই ৪৫ থেকে ৫০ টাকার কমে বেচা সম্ভব নয়। কিন্তু নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রি করলেই জরিমানা দিতে হবে, এই ভয়ে তেমন আলু বিক্রি হচ্ছে না। বলেন, বগুড়া রাজা বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী।
রাজা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, ‘অনেক পাইকার হিমাগারে গিয়ে দাম বেশি শুনে ফেরত আসছেন। হিমাগারে দাম নিয়ন্ত্রণ করা গেলেই বাজারে দাম কমে আসবে। তা না হলে খুচরা বা পাইকারি বাজারে নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করা সম্ভব হবে না।’
শিবগঞ্জ উপজেলার কাফেলা কোল্ড স্টোরেজের হিসাবরক্ষক আক্তারুজ্জামান মিল্টন বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সেই দামে আলু বিক্রি করলেও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। কিন্তু হিমাগার কর্তৃপক্ষের পক্ষে কোনো ভাবেই ব্যবসায়ীদের ওই (পাইকারি) দামে আলু বিক্রিতে বাধ্য করা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রতিটি হিমাগারে আনসার ও পুলিশের পাশাপাশি প্রশাসনের লোকজন থাকা দরকার।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রেজভী বলেন, আজ আলুর বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামে আলু কেনা-বেচা না করলে আগামীতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জেবি