সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধে বরগুনায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে বরগুনা জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন অডিটরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জেলার ৪২টি ইউনিয়ন, ছয়টি উপজেলা পরিষদ, চারটি পৌরসভার জনপ্রতিনিধি ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উগ্র ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকার একটি প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বরগুনায় দিনব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আবদুল ছালামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ভূবন চন্দ্র হালদার, বরগুনা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম, জেলা এনজিও ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আব্দুল মোতালেব মৃধা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ আব্দুল রশিদ প্রমুখ।
সেমিনারে উগ্র ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কে উপস্থাপনা করার পাশাপাশি সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাইদ নাসিরুল্লাহ পিপিএম।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উগ্র ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টির লক্ষ্যে সহজ-সরল যুবকদের ব্রেন ওয়াশ করে তাদের দলে নিয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। এটা প্রতিরোধ করতে অভিভাবকদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ভূমিকা অপরিসীম।
অভাব অনটনের পাশাপাশি যেসব যুবকরা হতাশায় ভুগছেন, এমন যুবকদের টার্গেট করছে জঙ্গিরা। এজন্য জনপ্রতিনিধিদের এমন পরিবারের পাশাপাশি এমন সব যুবকদের শনাক্ত করে নজরদারিতে রাখতে হবে।
এদের মধ্যে যাদের আচার আচরণ ও দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আসবে তাদের বোঝাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। এর পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করতে হবে। এরপর জঙ্গিবাদের পাশাপাশি অন্যান্য অপরাধও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
জেবি