দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিস্ফোরক আইনে করা একটি মামলার রায় দিতে তোরজোর করা হচ্ছে বলে শেরপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ।
হঠাৎ মামলার ঘন ঘন শুনানি, সাক্ষীদের মিথ্যা সাক্ষী দিতে চাপ, এজলাসে ৫-৬ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখাসহ সার্বিক পরিবেশ নিয়ে এই আতঙ্ক জানিয়েছে শেরপুর বিএনপি নেতাকর্মীরা।
মামলায়, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ৪৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আন্দোলনকে সামনে রেখে গত মাস দুই ধরে এই মামলার তারিখ পড়ছে ঘন ঘন। গত কয়েকটি সাক্ষী শুনানির তারিখও ছিল ঘন ঘন। নেতাদের দাবি শত ভাগ মিথ্যা গায়েবি এই মামলার ফরমায়েশি শাস্তি দিতে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে।
মামলায় অভিযুক্ত দুজন শীর্ষ নেতাই জেলার দুটি আসনে শক্তিশালী প্রার্থী। বাকিরা জেলার বিএনপির রাজনীতি মাতিয়ে রাখে। এসব নেতাকর্মীদের যেনতেনভাবে শাস্তি দিয়ে নির্বাচন ও সরকারবিরোধী আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার একটি কৌশল বলে দাবি করেছে বিএনপির শীর্ষ নেতারা। মামলার এই শুনানির দিন গুলিতে আদালত প্রাঙ্ণেমে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড় থাকছে। সবার মুখে আতঙেবত ছাপ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন শেষ রাতে বিএনপি নেতা খালেদা জিয়ার দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশে গভীর রাতে অভিযুক্তরা বিএনপি সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের বাসায় গোপন বৈঠকে বসে। বিষয়টি পুলিশের কানে আসলে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। মামলার দাবি মতে, ঘটনাস্থল থেকে ১১টি ককটেল, ২০টি কাঁচের বোতল, স্কচটেপ, পাঁচ লিটার পেট্রোল, কাপড়ের সলতা উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাইফুল ইসলাম সানি ও জয় চক্রবর্তি নামে দু'জন নেতাকে। বাকিদের পলাতক দেখানো হয়।
মামলায় অভিযুক্ত জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল জানিয়েছেন, অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। ঘটনার সময় দেশে আন্দোলন চলছিল সত্য। গভীর রাতে বৈঠক, আলামত জব্দ কিছুই হয়নি। ঘুমের মধ্যে বাড়ি থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কেউ কিছুই শুনছে না। গায়েবি মামলার মিথ্যা শাস্তি দিতেই তৎপরতা চলছে। আদালতের পরিবেশই বলে দিচ্ছে ন্যায় পাওয়া যাবে না। ২০১৪ সালের এমন অনেক মামলার কোনো সুরাহাই হয়নি। অথচ এই মামলাটাকে সামনে আনা হয়েছে উদ্দেশ্য প্রনিত শাস্তি দিতে। এখন প্রতি জেলাতেই শাস্তি দেওয়া যায় এমন মামলা সরকার সামনে এনে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করতে চাইছে। এই জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা আতঙ্খিত। বিএনপি নেতা রুবেলের দাবি এসব করে আন্দোলন ও সরকার পতন ঠেকানো যাবে না।
মামলার কৌশলি সরকারি অতিরিক্ত পারলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ঈমাম হোসেন ঠান্ডু বলেছেন, মামলাটি চাঞ্চল্যকর। অভিযোগের দীর্ঘ সময় পাড় হয়েছে। সকল মামলা দ্রুত শেষ করার আইনগত নির্দেশনা রয়েছে। রাজনৈতিক কোনো কারণ এখানে নেই। অভিযুক্তরা সকল আইনগত সুবিধা পাচ্ছেন। আইনের কোনো ব্যত্যয় হচ্ছে না। বিচার বিভাগ স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সবার কথাই শুনছেন। রাজতৈকি কারণে শুধু বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
জেবি