সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শেরপুরের চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধা ফরিদা বেগম হত্যা মামলার রায়ে ৩ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং একজনকে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বুধবার দুপরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার পাঞ্জরভাঙা গ্রামের জোগেন বিশ্বাসের লিটন বিশ্বাস, শেরপুর পৌর শহরের গৌরীপুর মহল্লার মেফাজ্জল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ঠোট কাঁটা জাহাঙ্গীর এবং গৌরীপুর মহল্লার রফিক মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া। এছাড়া যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামি হলেন গৌরীপুর মহল্লার আব্দুস সালামের ছেলে মো. আলাউদ্দিন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় এবং যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিকে ৫ হাজার টাকা এবং অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পি পি) অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল মামলার নথির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে জানান, আসামিরা ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট রাতে চুরির উদ্দেশে শেরপুর শহরের গৌরীপুর মহল্লার ফরিদা বেগমের ঘরে প্রবেশ করে।
এ সময় ফরিদা বেগম এক আসামিকে চিনে ফেললে ধরা পরার আশঙ্কায় তারা ওই বৃদ্ধাকে গলাকেটে জবাই করে হত্যা করে ঘরের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বৃদ্ধার ছেলে শফিউল এহসান শামীম বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশের কাছে প্রায় এক বছর মামলাটি ক্লুলেস থাকার পর পিবিআই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে প্রথমে দুই নম্বর আসামি জাহাঙ্গীরকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে।
পরে তার দেওয়া তথ্য অনুসারে এক নম্বর আসামি লিটন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেন। পরে সে ঘটনার পুরো বিবরণ দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে পিবিআইয়ের পরিদর্শক হারুন অর রশিদ চারজন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।
আদালত ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ বুধবার দুপরে এ রায় দেন। এদিকে সাজা ঘোষণার পর আদালত চত্বরে আসামিদের স্বজনদের কান্নাকাটি ও আহাজারি করতে দেখ যায়। অপরদিকে মামলার বাদী শামীম আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জেবি