সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ময়মনসিংহের নান্দাইলে পরীক্ষা কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া কন্যা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে সে। নবজাতকের বাবা এমদাদুল হক নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ওই দিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নান্দাইল উপজেলার ঘোষপালা ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে সুইটি আক্তার নামে এক আলীম পরীক্ষার্থী পরীক্ষার কেন্দ্রেই কন্যা সন্তান প্রসব করেন।
সুইটি আক্তার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামের মো. ইমদাদুল হকের স্ত্রী। সে উপজেলার নিবিয়াঘাটা মাদরাসার শিক্ষার্থী।
সুইটি আক্তারের স্বামী এমদাদুল হক বলেন, আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় প্রতিদিন আমি তাকে পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছি। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় সব সময় মনের মাঝে একটা ভয় কাজ করত। আজ সেই ভয় বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তবে স্ত্রী সুস্থ আছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এইচএসসি বা আলিম পরীক্ষা শুরু করে স্নাতক ও মাস্টার্স পর্যন্ত প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক গাইনি চিকিৎসক রাখা প্রয়োজন। কারণ, এসব পরীক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আসে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যদি কোনো প্রকার ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে অভিভাবকরা নির্ভয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি। আজ যদি পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো চিকিৎসক থাকতেন। তাহলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটত না।
পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব আবুল হাসান মো. এনামুল হক বলেন, সুইটি আক্তার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পরীক্ষা দিতে আসে। পরীক্ষার দুই ঘণ্টা চলাকালীন অবস্থায় ওই ছাত্রী প্রসব বেদনার বিষয়টি বুঝতে পেরে বাথরুমে যাবে বলে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে নিচে নামতেই কন্যা সন্তান প্রসব করেন।
তিনি আরও বলেন, এসময় নিরাপত্তার জন্য সবাইকে যার যার অবস্থানে থাকার অনুরোধ করা হয়। বলা হয়, কেউ যেন হলের বারান্দায় বের না হন। এ অবস্থায় সুইটির স্বামীকে খবর পাঠালে তিনি দ্রুত কেন্দ্রে প্রবেশ করে নবজাতকসহ স্ত্রীকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহমুদুর রশিদ বলেন, ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে সন্তান প্রসবের পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তবে বাচ্চার ওজন কম হওয়ায় দু’জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এইউ