সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নোয়াখালী সদরে প্যানকেয়ার আইসিইউ হাসপাতাল অ্যান্ড নরমাল ডেলিভারি সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে অসঙ্গতি থাকায় প্রতিষ্ঠানটির আইসিইউ ও রেডিওলজি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় চালানো অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাফিজ।
এর আগে বিল না পেয়ে এক রোগীকে আটকে রেখে হত্যার অভিযোগ ওঠে এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অভিযানে ওই ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাঈমা নুসরাত জেবিনও উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, অভিযানে আইসিইউ ও রেডিওলজি বিভাগে ডাক্তার-নার্সসহ পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় তা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন আইনে হাসপাতালের মালিক আবদুল মালেক মানিককে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাফিজ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতে অসঙ্গতিপূর্ণ কিছু পেলে আবারও অভিযান চালানো হবে।
এদিকে অভিযানের সময় প্যানকেয়ারের মালিক আবদুল মালেক মানিক সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দেশ টেলিভিশনের নোয়াখালী প্রতিনিধি খায়রুল আনাম রিফাতকে ধাক্কা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন এবং হুমকি প্রদান করেন।
বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জনকে জানালে এ ব্যাপারে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
এর আগে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে বিষপান করা সোনাইমুড়ি উপজেলার আমকি গ্রামের বাবর আহম্মদ (২৪) নামের এক যুবককে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে নিজের হাসপাতালে ভর্তি করেন মানিক। পরে শনিবার বিকেলে ৪৭ হাজার টাকা বিল করলে রোগীর পরিবার ২৫ হাজার টাকা দেয়। বাকি টাকা দিতে না পারায় কক্ষে তালা মেরে রোগীকে আটকে রেখে তার স্বজনদের বের করে দেওয়া হয়। পরদিন রোববার দুপুরে সদর হাসপাতালের বারান্দায় বাবরের মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা জেলা প্রশাসককে অভিযোগ দিলে সিভিল সার্জন কার্যালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাঈমা নুসরাত জেবিনের নেতৃত্বে সেই কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
জেবি