সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজী হকের বাসায় অভিযান চালালেও তাকে গ্রেপ্তার করেনি র্যাব। মূলত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই তাকে এখনও আইনের আওতায় আনা হয়নি বলে দাবি বাহিনীটির।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া বিভাগের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, আদম তমিজী হকের নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। তার বাসায় অভিযানের সার্চ ওয়ারেন্টও রয়েছে। সব নিয়ম মেনেই বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) তাকে আইনের আওতায় আনতে আমরা তার বাসায় যাই। এ সময় র্যাব কর্মকর্তারা নিয়ম মেনেই ম্যাজিস্ট্রেট, ডাক্তারসহ সেখানে অভিযানে যান।
খন্দকার আল মঈন বলেন, তার বাসায় একজন ইউকে নাগরিক ছিলেন, চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। সকল নিয়ম মেনেই আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করি। কিন্তু একপর্যায়ে তিনি ছুরি নিয়ে সুইসাইড করার হুমকি দেন, জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলেন, এক পা বাইরে দিয়ে লাফ দেওয়ার হুমকি দেন। এমনকি তার স্ত্রীকেও বাসার ওপর থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাকে সেইদন আর গ্রেপ্তার করা হয়নি, কিন্তু আমাদের অভিযান চলমান আছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সেদিন নিজের কারখানার দেড় থেকে দুইশ শ্রমিককে নিজের বাসায় সারাদিন আটকে রাখেন আদম তমিজী হক। এ সময় শ্রমিকরা তার বাসা থেকে বের হতে চাইলে তিনি তাদের আত্মহত্যার হুমকি দেন। এমন কি অভিযানের সময় এক ব্রিটিশ নাগরিক ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করেন।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, আমরা শুনেছি ইতোমধ্যে তার বন্ধু পরিচয় দেওয়া সেই ব্রিটিশ নাগরিক চলে গেছেন। আমরা স্বাভাবিক ও সুস্থভাবে তাকে আইনের আওতায় আনতে চাই বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে আলোচনার আসেন ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক। এর আগে ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেন তিনি।
আদম তমিজী হক গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর রাত ৩টার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আদম তমিজী হক সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হন। ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতী লীগের প্রধান উপদেষ্টা এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। পরে সরকার বিরোধী কার্যকলাপ এবং দলীয় শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজের দায়ে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে আদম তমিজী হক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও তার চাচা মতিউর রহমান মতির বিরুদ্ধে হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানাসহ একহাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ আনেন।
ডিপি/