সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি শনিবার (২৫ মে) আরও শক্তি সঞ্চয় করে রাত ৯টায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পর এটি খুব দ্রুত, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে উপকূলে। খুব বেশি সময় এটি আমাদের দেবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।
শনিবার (২৫ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাতের সম্ভাবনাই বেশি। তবে এর বড় অংশই বাংলাদেশের উপকূলের ওপর দিয়ে যেতে পারে। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ৩০ ভাগ যদি ভারত পায়, বাংলাদেশ পাবে ৭০ ভাগ।
তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত করতে পারে। ফলে খুলনার সুন্দরবন থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সব উপকূলীয় জেলা এর আওতায় পড়বে। সুতরাং এখানে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও নোয়াখালী জেলা ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় পড়বে।
আজিজুর রহমান বলেন, গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে যে গতিতে এগোচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে এটি রোববার (২৬ মে) রাত ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে উপকূলে আঘাত করতে পারে। সমুদ্রবন্দরগুলোতে এখন ৩ নম্বর সতর্কসংকেত রয়েছে। (সন্ধ্যা বা রাতে) ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে গেলে তখন এর অবস্থা অনুযায়ী সতর্কসংকেতেও পরিবর্তন আসবে।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারাদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ২৪ ঘণ্টায় ৩০০ থেকে ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সারাদেশে একরকম বৃষ্টি হবে না। উপকূলীয় এলাকায়, বিশেষ করে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও নোয়াখালী জেলায় বৃষ্টি বেশি হবে।
কে